নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘খেলা হবে’ স্লোগান একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মাতিয়েছে বাংলার আকাশ বাতাস। নির্বাচন শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে থেকেই এই স্লোগানে মেতেছেন আট থেকে আশি আপামর বাঙালি। অন্যদিকে মঞ্চে মঞ্চে প্রচারের সময় তৃণমূল নেতাদের বলতে দেখা গেছে ‘খেলা হবে’ ভয়ঙ্কর খেলা হবে’। আবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো মঞ্চ থেকে ফুটবল ছুঁড়েই অভিনব কায়দায় প্রচার করতেন। যা অনেকেরই নজর কেড়েছে।
আর এই অভিনব কায়দায় ভোট প্রচারের পর ভোট গণনা শেষে দেখা গেল বাংলার মানুষ বেছে নিলেন ‘বাংলার মেয়েকেই’। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিনামূল্যে ৫০,০০০ ফুটবল দেবেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ফুটবল প্রীতি আর নতুন নয়। ফুটবলের প্রতি তার ভালোবাসার এক অজানা কাহিনী প্রকাশ্যে এসেছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা অজিত বন্দোপাধ্যায় অর্থাৎ ষষ্ঠী দা জানিয়েছেন, “একটা সময় ছিল যখন কালীঘাট মিলন সংঘ অ্যাল্যান লিগে খেলত। তখন ফুটবলারদের টিফিন কিনে দেওয়ার মতো সামর্থ্য ছিল না আমাদের। ফুটবলারদের টিফিনের জন্য বাড়িতে মা রান্না করতেন এবং হাত লাগাতেন মমতা। কখনো ছোলা গুড়, কখনো আবার ভেজিটেবিল স্টু করে সাইকেলের পিছনে বেঁধে দিতেন। আর এই কাজ করতে কখনো বিরক্ত হতে দেখি নি বরং উৎসাহের সাথেই করতে দেখেছি।”
অজিত বন্দোপাধ্যায় মনে করেন ছোটবেলার সেই ফুটবল প্রেম আজও বজায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে। যে কারণে প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েই রাজ্যের ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন তিনি। পদক্ষেপ নিয়েছেন ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি করার। যুবভারতী স্টেডিয়ামকে নতুন করে সাজানো হয়।
[aaroporuntag]
অজিতবাবুর কথায়, তিনি নিজে ছোট ক্লাব করে এসেছেন বলে জানেন কত ধরনের সমস্যা হয় ফুটবলে। কারণ ক্রিকেটের মত ফুটবলে টাকা নেই। যারা ফুটবল খেলা অথবা ক্লাব ইত্যাদি চালিয়ে যান তারা কেবলমাত্র নিজেদের ভালোবাসা থেকেই চালিয়ে যান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুটবলের কথা সব সময় অনুভব করেন। তাই বিভিন্ন ক্লাবকে টাকা দেওয়া নিয়ে হাজার সমালোচনা হলেও তিনি তা পাত্তা দেননি। খেলাধুলার জগতে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তিনি।