নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণ পার করলো পাঁচ মাস। তবে তিনি গত নির্বাচনে জয় লাভ করতে না পারার কারণে তৈরি হচ্ছিল সাংবিধানিক জটিলতা। কারণ সংবিধান অনুযায়ী, কোনো বিধায়ক অথবা সাংসদ না হওয়া ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী অথবা মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলে, তিনি যদি তার মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে চান, তাহলে তাকে ৬ মাসের মধ্যে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়ে আসতে হবে।
এমত অবস্থায় যখন রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে যেগুলিতে নির্বাচন অথবা উপ র্নিবাচন হয়নি সেই বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে নির্বাচনের জন্য বারংবার কমিশনের দ্বারস্থ হতে লক্ষ্য করা যাচ্ছিল শাসকদল তৃণমূলকে। অন্যদিকে আবার বিজেপির তরফ থেকে একাধিক কারণ দেখিয়ে এর বিরোধিতা করা হচ্ছিল। তবে শেষমেশ শনিবার একমাত্র ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং মুর্শিদাবাদের যে দুটি কেন্দ্রে ভোট হয়নি সেই দুটি কেন্দ্রের ভোট ঘোষণা করে।
ভোট ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার শুরু হয়। কারন হাতে আরও বেশি সময় নেই ভোট ৩০ সেপ্টেম্বর এবং গণনা ৩ অক্টোবর। আর এই প্রচার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয় কবে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন সামনে এলো।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনক্ষণ নিয়ে তৃণমূল সূত্রের যা জানা যাচ্ছে তা হল, সম্ভবত আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্রীয় প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই দিন সকাল দশটার সময় আলিপুর সার্ভে বিল্ডিং-এ জমা দিতে পারেন তিনি।
তবে একটি মাত্র বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর বিজেপি এবং অন্যান্য শিবির একাধিক প্রশ্ন তুলেছে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের যুক্তি, দেশের ৩১টি বিধানসভা কেন্দ্রে বাকি রয়েছে উপ নির্বাচন, একটি লোকসভা কেন্দ্রে বাকি রয়েছে উপ নির্বাচন, তাহলে কেন কেবলমাত্র একটি বিধানসভা কেন্দ্রেই নির্বাচনের প্রয়োজন পড়লো? বাকি কেন্দ্রগুলি কি দোষ করলো।
প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি এই কেন্দ্রে জয়লাভও করেছিলেন। কিন্তু নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার পর পুনরায় কেন্দ্রটি তার জন্য ছেড়ে দিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়।