নিজস্ব প্রতিবেদন : ভোটের আগে প্রতিটি সরকারকেই কল্পতরু হতে দেখা যায়। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন আরও এক ধাপ এগিয়ে। এবার তিনি কল্পতরু হয়ে সুখবর দিলেন রাজ্যের রেশন ডিলারদের। রেশন সম্পর্কিত একাধিক ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করলেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের রাজ্য সম্মেলন ‘অন্নে অনন্যা বাংলা’তে যোগ দেন। সেখানেই তিনি রেশন ডিলারদের করোনাযোদ্ধা বলে উল্লেখ করে তাদের জন্য একাধিক সুবিধার ঘোষণা করলেন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শুধুমাত্র চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীরা নয় যে সমস্ত মানুষেরা অসময়ে মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছিলেন তাদেরও কোভিড যোদ্ধা বলা যায়।আর এই কোভিড যোদ্ধাদের পাশে তার সরকার ছিল, আছে ও থাকবে।”
এরপর রেশন ডিলারদের জন্য যেন কল্পতরু হয়ে ওঠেন মমতা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রেশন ডিলারদের জন্য তিনটি সুবিধা ও ছাড়ের ঘোষণা করেন তিনি।
রেশন ডিলারদের জন্য মূলত তিনটি ঘোষণা করেছেন তিনি। তার মধ্যে দুটি ক্ষেত্রে তিনি ছাড়ের ঘোষণা করেন আর একটি ক্ষেত্রে সুবিধার ঘোষণা করেন।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “রেশন ডিলারদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ যেটি এক বছরের জন্য করা হয় সেই সময়টি বাড়িয়ে তিন বছর করে দিতে হবে।”
মাননীয়ার কথায়, “লাইসেন্স যেটা বার্ষিক পুনর্নবীকরণ করা হয় সেটা এখন এক বছর করো। এটা তোমরা তিন বছর করে দাও তাহলে ওদের সুবিধা হয়। এক বছর দেখতে দেখতে কেটে যায় মনেই হয় না কিছু।”
এরপর মুখ্যমন্ত্রী আরও দুটি সুবিধার কথা ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আমি আর দুটো বলবো। দুই হচ্ছে নতুন ডিলারশিপ লাইসেন্স আবেদনের জন্য কার্যনিবাহী মূলধন ৫ লক্ষ টাকা কমিয়ে ২ লক্ষ টাকা করে দাও।” অর্থাৎ মোট তিন লক্ষ টাকা ছাড় দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এও উল্লেখ করেছেন, এই সুযোগ শুধুমাত্র করোনার সময়কালেই পাওয়া যাবে। করোনা নির্মূল হয়ে গেলে আর পাওয়া যাবে না।
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা বিশেষ সুবিধা দেন রেশন ডিলারদের, যা আগে ছিলো না। মাননীয়ার কথায়, “আমি একটা প্রভিশন করে দিচ্ছি যেহেতু আপনারা ও সমাজের কাজ করেন আপনাদের লিস্ট খাদ্য দপ্তরের কাছে থাকবে কাজ করতে করতে যদি কেউ দুর্ঘটনায় বা কোনো ঘটনায় মারা যায় তাহলে সরকার তাকে ২ লক্ষ টাকা করে দেবে।”
এর পাশাপাশি এদিন রেশন নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ ও করেন মাননীয়া। তিনি বলেন, কেন্দ্র সরকার যেখানে রেশনের জন্য ৬৯ হাজার টন চাল কেনেন, সেখানে রাজ্য সরকারকে ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন কিনতে হয়। তাই কেউ যদি বলে রেশনের চালটা ভালো তাহলে তার ভালো লাগে পাশাপাশি কেউ খারাপ বললেও তার কষ্ট হয়।