নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের ভোটের আগে গত সপ্তাহে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ পাঠায় আয়কর দপ্তর। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির পরিপ্রেক্ষিতে এই নোটিশ পাঠানো হয় বলে জানা যায় আয়কর দপ্তর সূত্রে। আর এর রেশ কাটতে না কাটতেই সোমবার সিবিআই সূত্রে জানা গেল, গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করা হয়েছে এবং আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তাকে নিজাম প্ল্যালেসে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন জাগছে সিবিআই-এর এই শমনে কি সাড়া দেবেন বীরভূমের এই দাপুটে নেতা! প্রশ্ন জাগছে অন্তত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর। যদিও অনুব্রত মণ্ডল কি করবেন তা সম্পর্কে কাউকেই এখনো কিছু জানাননি। অর্থাৎ ভবিষ্যতই বলবে অনুব্রত মণ্ডলের পদক্ষেপ।
তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপদেশ দিয়েছেন, ‘আমি বলে দিচ্ছি, একদম যাবি না।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিন শ্যামপুকুরে মিনার্ভা থিয়েটারে সাংবাদিক সম্মেলন করার সময় বলেন বলেন, “এত ভীতু এরা জানেন! কাল কেষ্টর বাড়িতে গিয়েছিল দুটো সিবিআইয়ের লোক। গিয়ে বলছে ২৭ তারিখে সিবিআই অফিসে আসুন। ২৯ তারিখে ওদের ওখানে ইলেকশন। কেন যাবে ২৭ তারিখ সিবিআই অফিসে! ইলেকশন চলছে, গণতন্ত্রের প্রসেস চলছে। ইচ্ছেমতো ডাকছে। সে ইলেকশনের কাজ করবে না! সে একটা পার্টির প্রেসিডেন্ট। তার বাড়িতে চলে যাচ্ছে। বুঝুন ঠেলা। কোভিড নিয়ে চলে যাচ্ছে। যে কেউ ঢুকে যাচ্ছে। এখন কেউ ঢোকবার আগে টেস্ট করা উচিত।”
আর সিবিআই ডাকলেও সাড়া না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি বলে দিয়েছি, একদম যাবি না। ইলেকশন প্রসেস শেষ হবে তারপর যাবি। আমি একটা পার্টির পলিটিক্যাল কর্মী। বাধা দেবেন না।”
[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক ধরেই অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ভোটের আগে কয়েকদিন আগে থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তি ইত্যাদি নিয়ে নানান প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছিল গেরুয়া শিবিরকে। আর সেই সকল প্রশ্নই যেন ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। অন্ততপক্ষে একের পর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাক রীতিমতো তাকে চাপে ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।