শর্তসাপেক্ষে খুলছে ছোট দোকান, বন্ধ থাকছে সেলুন, রইলো পূর্ণাঙ্গ তালিকা

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউন চলাকালীনই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্ন থেকে ঘোষণা করে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী সোমবার থেকে রাজ্যের বিশেষ বিশেষ কিছু এলাকায় শর্তসাপেক্ষে খোলা হবে বেশ কিছু দোকান। যেসব দোকান খোলা হবে সেসব তালিকায় রয়েছে স্টেশনারি থেকে বই, রঙের দোকান। তবে সেলুন খোলার অনুমোদন এখনই মিলছে না নবান্ন থেকে। কেন্দ্র সরকার দিন কয়েক আগেই গ্রীন জোন এলাকায় শর্তসাপেক্ষে এমন বেশ কিছু দোকান খোলার নির্দেশিকা জারি করে। এবার সেই পথেই হাঁটছে রাজ্য সরকার। তবে ৩ মে’র আগে নয়।

Advertisements

Advertisements

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্ন থেকে জানান আগামী সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের গ্রিন জোনভুক্ত এলাকায় বেশকিছু পরিষেবার ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে, তবে তা শর্তসাপেক্ষে। এই সকল এলাকায় শর্তসাপেক্ষে চালু হবে সরকারি বাস পরিষেবা ও ট্যাক্সি পরিষেবা। গ্রিন জোনভুক্ত এলাকাগুলিতে বেসরকারি বাস পরিষেবার ক্ষেত্রেও মিলতে পারে ছাড়। এছাড়াও বেশ কিছু দোকান খোলার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

Advertisements

পাড়ায় পাড়ায় ছোট ছোট দোকান খুলে যাচ্ছে আগামী সোমবার থেকে। খুলবে স্টেশনারি দোকান, বইয়ের দোকান, রঙের দোকান, ছোট ইলেকট্রনিক্সের দোকান, মোবাইল চার্জের দোকান, ব্যাটারি চার্জের দোকান, হার্ডওয়ারের দোকান, লন্ড্রি, চা ও পানের দোকান। তবে এই সকল দোকানগুলি খুললেও বিশেষ করে চা ও পানের দোকানে কোন রকম আড্ডা দেওয়া যাবে না। গ্রিন জোনভুক্ত এলাকায় খুলবে কল কারখানা। কলকাতার গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনভুক্ত এলাকায় হোম ট্যাক্সি পরিষেবার ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ট্যাক্সিতে কেবলমাত্র চালকসহ তিনজন বসতে পারবেন। সামনে একজন ও পেছনে আরেকজন।

যেসব দোকান খোলার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেওয়া হয়নি

হকার্স মার্কেট অর্থাৎ ফুটপাথের বাজারগুলি খোলার অনুমতি মেলেনি। মার্কেট কমপ্লেক্স, বড় বড় ইলেকট্রনিক্সের দোকান, ফুটপাথের কোনরকম দোকান, সেলুন খোলার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেয়নি নবান্ন। তবে সেলুন খোলার ক্ষেত্রে আগামী দিনে অনুমোদন দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে এই সকল দোকান ও গণপরিবহনের ক্ষেত্রে খোলার অনুমোদন দেওয়া হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, কোথাও যদি কোনরকম সরকারি নির্দেশিকা মানা না হয় তাহলে অনুমোদন তুলে নেওয়া হবে। পাশাপাশি দোকান খুললেও মেনে চলতে হবে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি। কোনরকম জমায়েত করা যাবে না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা বা বিক্রি করতে হবে। পাশাপাশি সরকারি নির্দেশিকা অনুসারে দোকানের মালিক, কর্মচারী বা খরিদ্দারদের মুখে মাস্ক থাকা আবশ্যিক।

Advertisements