নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে এই মুহূর্তে পাড়ায় পাড়ায় চলছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এবারের এই দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে পাখির চোখ হলো লক্ষীর ভান্ডার। যে প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ শ্রেণীর মহিলারা মাসে মাসে ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা মাসে মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। আর এই টাকা পাওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্নে সাংবাদিকদের করার সময় বলেন, শর্ত পূরণ করলে পরিবারের সব মেয়েরাই পাবেন লক্ষীর ভান্ডারের টাকা। তিনি বলেন, “যদি কেউ সরকারি চাকরি না করেন অথবা কোনরকম পেনশনভোগী না হন, তাহলে পরিবারের সব মেয়েরাই এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। যারা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করেছেন তারা তো সেই কার্ড দেখালেই ফর্ম পেয়ে যাবেন।”
এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “যারা এখনো স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করাতে পারেননি তারা করিয়ে নিন। এই কার্ড তো বাড়ির সবথেকে বয়স্ক মহিলা যিনি তাঁর নামে হবে। কিন্তু ধরুন সেই বাড়িতেই আরও ৩ জন মহিলা রয়েছে। যাদের বয়স ২৫ থেকে ৬০-এর মধ্যে পড়ছে। তাঁদের নামে হয়তো স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই। কিন্তু বাড়ির অভিভাবকের নামে থাকলেও ওই বাড়ির বউরাও এর সুবিধা পাবে।”
অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিনের এই ঘোষণায় একটি জিনিস পরিষ্কার হল যে কোন পরিবারের একাধিক মহিলা সদস্যরা এই লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। যে প্রশ্নটা অনেকের মধ্যেই ছিল। তবে যারা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করবেন তাদের বয়স অবশ্যই ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তারা যেন কোনরকম সরকারি চাকরি না করেন এবং কোনরকম পেনশনভোগী না হন। এছাড়াও আবেদনকারী মহিলা যেন ইনকাম ট্যাক্সের আওতায় না পড়েন।