ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করলে জেলে ভরতে পারে সরকার, মুখ্যমন্ত্রী

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার যুদ্ধে যারা সামনে থেকে দাঁড়িয়ে লড়াইটা করছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন ডাক্তার, নার্স স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ ও সাফাই কর্মী। অথচ এই মানুষগুলি বারবার হেনস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গের করোনা অ্যাকটিভ ১৩২। দেশে সংখ্যাটা ১০,৩৬৩। এই মুহূর্তে ডাক্তার, নার্স আর পুলিশ দিয়েই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার অথচ এই স্বাস্থ্য কর্মীদেরকেই হেনস্থা করছে মানুষ! পুলিশকেও টার্গেট করা হচ্ছে!

Advertisements

Advertisements

জামুড়িয়ার ঘটনা প্রসঙ্গেও এদিন মমতা বলেন, “জামুড়িয়াতে ওসির পা ভেঙে দেওয়ার কি দরকার ছিল। জনবসতি এলাকায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা যাবে না সেটা পুলিশকে বললেই হত।আর আমিই তো বলেছি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা যাবে না।তবে সরকার চাইলে যে কোনো জায়গায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা যেতে পারে। তবে আমরা মানবিক বলেই সেটা করি না।”

Advertisements

এরপর তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের ভালো থাকার জন্যও কথা বলেন। এর আগেও পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমার ডাক্তার-নার্সদের ভাল থাকতে হবে।” এখন তিনি এই বিষয়টি আরও পরিষ্কার করে বলে দিলেন। সম্প্রতি রানাঘাটের তরুণী স্বাস্থকর্মীকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “যারা এমন ব্যবহার করছেন, সরকার চাইলেই তাদের জেলে ভরতে পারে।”

এছাড়া তিনি এদিন আরও বলেন, “রানাঘাটে তরুণী স্বাস্থ্যকর্মীকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে সরকার তাকে ফ্ল্যাট দেবে। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে তাদের দেখবো আমরা। যারা এমন ব্যবহার করছেন, সরকার ইচ্ছে করলে তাদের জেলে ভরতে পারে। ৬ মাস থেকে ১ বছরের জেল হতে পারে। কিন্তু আমরা তা করছি না। আশা করি সবাই বুঝবেন। মা-বোনদের বলছি আপনারা এজন্য এগিয়ে আসুন। সকলকে বলছি স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করুন।”

স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশ্রামের ব্যাপারেও এদিন তিনি বলেন, “ডাক্তার-নার্সরা খুব ভাল কাজ করছেন। কোনও বিশ্রাম পাচ্ছেন না। দিনরাত কাজ করছেন। ডাক্তার, নার্স ও মেডিক্যালকর্মীরা ৭ দিন কাজ করবেন, আর ৭ দিন রেস্ট করবেন। তাহলে তারাও একটু নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পাবেন। আরও এনার্জি পাবেন। স্বাস্থ্য ভবনকে বলবো এটা করতে।”

পুলিশ কর্মীদের বিশ্রামের ব্যাপারটিও তিনি ভাবছেন রীতিমতো, “পুলিশকেও বলবো এই বিষয়টা ভেবে দেখতে। হয়ত পারবে না পুলিশ। পরে পুলিশের ছুটি করব। তবে দিন-রাতের শিফট যদি ৬-৮ ঘণ্টা করা যায়, সেটা দেখতে বলবো”

Advertisements