৫ রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরলেই যেতে হবে সোজা সরকারি কোয়ারেন্টাইনে, মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন : সংক্রমণ প্রবণ পাঁচটি রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রাতিষ্ঠানিক অর্থাৎ সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যাপারে রাজ্য সরকার কিছু কিছু নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেগুলি হল পাঁচ রাজ্য থেকে যেসব পরিযায়ী শ্রমিকরা বাংলায় ফিরবেন তাদের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর সরকারি কোয়ারেন্টাইনে বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হবে। বাকিদের ১৪ দিন বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যেসব রাজ্যগুলি থেকে ফিরলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেগুলি হল মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাট মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু। কারণ এই রাজ্যগুলিতে সংক্রমণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। সেজন্য এই রাজ্যগুলি থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের সোজা যেতে হবে সরকারি কোয়ারেন্টাইনে।

এই বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় পরিকল্পিতভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কোন পরিকাঠামো নেই তা মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন। উষ্মা প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন “শুধু বাংলায় কেন, কেন্দ্র সরকারেরও লক্ষ লক্ষ শ্রমিককে কোয়ারেন্টাইনে রাখার সামর্থ্য নেই।” সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তাদের ১৪ দিন পর লালা রস পরীক্ষা করা হবে তার আগে করে লাভ নেই। সেইসঙ্গে আরও বলেছেন এই সব ব্যক্তিরা যাতে বাড়ির বাইরে বা অন্য কোথাও ঘোরাঘুরি না করতে পারেন তা জেলা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।

সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলগুলিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে গড়ে তোলার। ইতিমধ্যেই ৩০শে জুন পর্যন্ত রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি এই কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা বাড়ির খাবার খেতে পারবেন তবে বাড়ির লোক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

যা নিয়ে বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, বিহারের মতো রাজ্যে অনেক আগেই পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এই সরকারি কোয়ারেন্টাইন খোলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে তা এতদিন পরে কেন? বিজেপির মুখপাত্র সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কি চাইছিল এই পরিযায়ী শ্রমিকদের থেকে সংক্রমণ তাদের পরিবারের লোকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। তারপর স্কুলগুলিকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করা হবে যাতে কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপাতে সুবিধা হয়।

যদিও এই বিশাল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে একবারে না ফিরিয়ে ধাপে ধাপে ফেরানোর আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার যাতে তাদের ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব হয়।