নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্যে রাজ্য এবং রাজ্যপাল (Governor) দ্বন্দ্ব ধারাবাহিকতার সঙ্গে বজায় রয়েছে। আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankhar) থাকাকালীন থেকেই এই দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে পশ্চিমবঙ্গে আসেন নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)। বোসের আমলের প্রথম দিক দেখে আশা করা হচ্ছিল, রাজ্যে এবার রাজ্য রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব মিটে যাবে। কিন্তু কিছুদিন পার হতেই সেই দ্বন্দ্ব আরও প্রকট হয়েছে।
ভোট থেকে শুরু করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক হিংসা, সবকিছুতেই রাজ্য এবং রাজ্যপালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে যে দ্বন্দ্ব দেখা গিয়েছে তা সচরাচর অন্য কোন রাজ্যে দেখা যায় না। এখন আবার এই দ্বন্দ্ব প্রকট হয়েছে মূলত রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগের ক্ষেত্রে। এই দ্বন্দ্বের মাঝেই রাজ্যপাল এবং রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) একাধিকবার দ্বন্দ্বে জড়াতে দেখা গিয়েছে। এমনকি ব্রাত্য বসু সম্প্রতি রাজ্যপালকে ভ্যাম্পায়ার বলে কটাক্ষ করেন। পাল্টা রাজ্যপালও হুঁশিয়ারি দেন।
এসবের মধ্যেই গত শনিবার মধ্যরাতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ বন্ধ খামে দুটি চিঠি পাঠান। একটি চিঠি যায় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এবং আরেকটি চিঠি যায় দিল্লিতে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের হুঁশিয়ারির মাঝেই হঠাৎ এমন চিঠি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে ওঠে। কি রয়েছে সেই চিঠিতে তা নিয়ে কৌতুহল বাড়তে শুরু করে রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে। অবশেষে ৩৬ ঘন্টা কাটার পর সেই চিঠি দিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) জানিয়ে দেন ঠিক কি রয়েছে ওই চিঠিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘সিভি আনন্দ বোসের পাঠানো চিঠিতে তেমন কিছু নেই।’ তিনি জানান, বিদেশ যাত্রার জন্য রাজ্যপাল শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন। তাতে আর আলোচনার মত কিছু নেই।
তবে ঐ চিঠি নিয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর একটি বক্তব্য তুলে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চটে যান এবং বলেন, “কেন? রাজ্যপালের পাঠানো ব্যক্তিগত চিঠি। সেটা আমি কেন প্রকাশ করতে যাব! এতে তো রাজনৈতিক কিছু নেই। ব্যক্তিগত চিঠি এভাবে প্রকাশ করা যায় না।”