মাথাপিছু ১০০০ টাকা, অসংগঠিত শ্রমিকদের ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে আবেদন করার পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বই হতভম্ব। বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশেও গত ২৪ মার্চ থেকে জারি হয়েছে লকডাউন। আর এই লকডাউনের কারণে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। অন্যান্যদের পাশাপাশি সবথেকে বেশি বিপাকে অসংগঠিত কর্মক্ষেত্রে কর্মরত মানুষেরা, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা। আর এই সকল মানুষদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এককালীন ১০০০ টাকা করে দেওয়ার জন্য একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন যার নাম হল ‘প্রচেষ্টা’। এই ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের আওতায় কারা ১০০০ টাকা করে পাবেন এবং কিভাবে আবেদন করবেন তা নিয়েই এখন আলোচনা করা হবে।

প্রচেষ্টা প্রকল্প কি?

অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিক, রিকশাচালক এই সকল ক্ষেত্রের মানুষেরা যেন ১০০০ টাকা করে এককালীন পেয়ে সেই টাকা নিজেদের কাজে লাগাতে পারেন তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ই এপ্রিল এই প্রচেষ্টা প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। টাকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ১৫ তারিখ থেকেই, চলবে আগামী ১৫ই মে পর্যন্ত।

প্রচেষ্টা প্রকল্পে আবেদন করতে হলে কি কি ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে?

১) উপভোক্তাকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।

২) পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হওয়ার পাশাপাশি উপভোক্তার ভোটার আইডি কার্ড অথবা আধার কার্ড থাকতে হবে প্ৰমাণ পত্রের জন্য।

৩) এছাড়াও দিতে হবে বার্ষিক আয়ের শংসাপত্র।

৪) কেবলমাত্র দরিদ্র শ্রেণীর মানুষেরা এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন। সকলের জন্য এই প্রকল্প নয়।

৫) উপভোক্তার অবশ্যই একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর থাকতে হবে।

৬) বিপিএল, এপিএল, এসিএসটি বলে কিছু নেই। প্রত্যেক মজুরের পরিবার পেয়ে যাবে এককালীন ১০০০ টাকা।

আবেদন করার পদ্ধতি

আবেদন ফর্ম

এই প্রকল্প থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য উপভোক্তাদের একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। যে ফর্মটি ফিলাপ করে জমা দিতে হবে বিডিও অথবা এসডিওকে। কলকাতা পৌর এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ফর্ম জমা দিতে হবে KMC তে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি একটি আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। একসাথে অনেকগুলি আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে না। এরপর সেই আবেদনপত্র যাচাই করার মাধ্যমে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।