নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এই সকল প্রকল্পের পাশাপাশি বেশকিছু শিল্পের সন্ধানও দিয়েছেন। এসবের পাশাপাশি এবার কাশফুল নিয়ে শিল্প করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন সরকারি আমলাদের। কাশফুল থেকে বালিশ-বালাপোশ তৈরি হলে তা প্রচুর টাকায় বিক্রি হতে পারে, এমনটাও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার হাওড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি শিল্পপতি, জনপ্রতিনিধি, আমলা এবং পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই কাশফুল দিয়ে শিল্পের পাশাপাশি একাধিক শিল্প, কর্মসংস্থানের দিশা দেখাতে গেল তাকে।
কাশফুল দিয়ে শিল্পের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, তার মাথায় নতুন একটি আইডিয়া এসেছে। সেই আইডিয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, “আমার আর একটা আইডিয়া আছে। এই যে কাশফুল হয় বাংলায়। তুমি দেখবে পুজোর এক মাস আগে থেকে শুরু হয়। একমাস থাকে। তারপর উড়ে চলে যায়। কোনও কাজে লাগে না।”
এর পরেই তিনি বলেন, “কিভাবে কাশফুল সংরক্ষণ করা যায়, তা নিয়ে গবেষণা করে দেখা যেতে পারে। তারপর কাশফুল থেকে বালিশ এবং বালাপোশ তৈরি করা যেতে পারে। কাশফুলের ওই বালিশ তো প্রচুর টাকা দিয়ে কিনবে মনে হয়। যাঁদের কেনার ক্ষমতা আছে। সুতরাং তোমরা কাশফুলটা কীভাবে ব্যবহার করতে পারো, দেখো তো।”
এর পাশাপাশি তিনি শাটল কক ক্লাস্টারের উন্নয়নের জন্য হাঁসের পালক সংগ্রহের কথা জানান। এই প্রসঙ্গ উঠে আসে যখন উপস্থিত একজন জানান, ‘উলুবেড়িয়া একাধিক ক্লাস্টার আছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ শাটল কক ক্লাস্টার। ভারতে আর কোথাও ক্লাস্টারে তৈরি হয় না শাটল কক। হয় চিন থেকে আসে, নাহলে কোনও ফ্যাক্টরিতে তৈরি হয়। এর জন্য দরকার হাঁসের পালক।’
এমন তো শুনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ইট’স আ গুড আইডিয়া। হাঁসের পালক। তোমরা তো এখন হাঁসের পোল্ট্রি করছ। এখন তো গ্রামে গঞ্জে হাঁস আছে। সেল্ফ হেল্প গ্রুপকে হাঁসের পালকটা সংগ্রহ করতে বলো।”