‘বাংলাকে করোনা থেকে বাঁচাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা বাতিল করলো’, অনুব্রত মণ্ডল

Shyamali Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : রোড শো অথবা পথসভা এবং জনসভা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে বৃহস্পতিবার নতুন করে একটি নির্দেশিকা প্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সমস্ত জনসভায় বাতিল করলেন। আর এই জনসভা বাতিল করা প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য, ‘বাংলাকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’।

Advertisements

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা বাতিল নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “মমতা ব্যানার্জি আজকে রাতে ডিসিশন নিয়েছে বাংলার মানুষের মধ্যে যাতে বেশি করোনা না ছড়ায় তার জন্য বীরভূমের চারটে মিটিং এবং অভিষেকের তিনটে মিটিং, মুর্শিদাবাদও ছিল, মালদাও ছিল, সব মিটিং মমতা ব্যানার্জি ক্যানসেল করলো। মমতা ব্যানার্জি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, মমতা ব্যানার্জি বাংলার মানুষের কথা ভাবে সাধারণ মানুষের কথা ভাবে।”

Advertisements

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বাতিল করার ঘোষণা করার পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের এদিন ফের একবার বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে এক হাত নিয়েছেন। তিনি আক্রমণ করে বলেন, “নরেন্দ্র মোদি আর ইলেকশন কমিশনার আজকে ২২ তারিখে ভাবলে তিন দফার ভোট একসাথে করে দিতে পারতো। আজ হাইকোর্টের কাছে ধাক্কা খেয়ে নির্বাচন কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

Advertisements

মমতা ব্যানার্জির জনসভা প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের দাবি, “কাল যদি বোলপুরে মমতা ব্যানার্জি আসতো তাহলে কম করে ৩ লাখ লোক হত। এই তিন লাখ লোকের ভিতর কার করোনা আছে, কার নায় মানুষ জানে না। তাহলে করোনাটা বোলপুরে আরও ছড়িয়ে দেওয়া হতো। পরশুদিন ময়ূরেশ্বর, সিউড়ি মিটিংয়ের ক্ষেত্রেও একই রকম ঘটনা ঘটতো। সিউড়িতেও তিন লক্ষ লোকের অ্যারেঞ্জমেন্ট ছিল। তাহলে সেখানে একইভাবে ছড়াতো। তারপর ছিল রামপুরহাট। সেখানেও একই রকম লোকের জমায়েত হত। এইসব কথা ভেবেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই সকল মিটিং বাতিল করেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মানুষের কথা ভাবে।”

[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন জনসভা বাতিলের ঘোষণা করেছিলেন তখন অনুব্রত মণ্ডল কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘হেরে গেছে বুঝতে পেরে মোদি ও অমিত শাহ পালিয়ে গেল’। তিনি নরেন্দ্র মোদির সভা বাতিল হওয়ার পর বলেছিলেন, “আজ ষষ্ঠ দফার ভোট সুন্দর হয়েছে। একটাও পাবেনা বিজেপি। আর এই সব বুঝতে পেরেই সিউড়ি ও অন্যান্য সভা বাতিল করল মোদি আর অমিত শাহো তিনটের মধ্যে একটি সভা করে পালিয়ে গেল।”

Advertisements