West Bengal Ration System: চলবে না কোন কারচুপি! রেশন ডিলারদের নিয়ে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ মমতা সরকারের

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

West Bengal Ration System: জায়গা জায়গায় এখন একটাই শব্দ দুর্নীতি। চাকরি পাওয়াতে দুর্নীতি, চাকরি দেওয়াতে দুর্নীতি, এমনকি রেশনেও দুর্নীতি (West Bengal Ration System) চলছে। এই দুর্নীতি আটকাতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। বহুদিন আগে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছিল যে মৃত মানুষের নামেও অহরহ রেশন তোলা হচ্ছে ডিলারদের থেকে। তাই এই দুর্নীতি আটকাতে গিয়ে আধার কার্ডের সঙ্গে রেশন কার্ডের লিংকের প্রক্রিয়াটি শুরু করা হয়। তবে এখনো কি পুরোপুরি দুর্নীতি আটকানো সম্ভব হয়েছে? প্রশ্ন করছেন সাধারণ মানুষ।

Advertisements

এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বর্তমানে রাজ্য সরকারের আসনে দখল করে থাকা তৃণমূলের নাম। যার ফলে অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের। কিছু মানুষ দুর্নীতিমূলক কাজকর্মগুলি করছে। কিন্তু বিপাকে পড়ছে গোটা শাসক দল। তাই এহেন দুর্নীতি আটকাতে এবার কোমর বেঁধে মাঠে নামছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনিও যদি সরকার পশ্চিমবঙ্গে রেশন (West Bengal Ration System) পেয়ে থাকেন তবে প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

Advertisements

আরো পড়ুন: দমদম বিমানবন্দর নেতাজির নামে, তাই বাগডোগরা বিমানবন্দরের নামকরণ এনার নামে হতে চলেছে

বেশ কিছুদিন আগে প্রতিটি রেশন ডিলারদের বিরোধী অভিযোগ ঘটেছিল যে রেশনের সামগ্রী তারা জালিয়াতি করে বাইরে বিক্রি করছে চড়া দামে। এরপর প্রশাসন থেকে রেশন দোকানে ঘুরে ঘুরে তদন্ত করা হয়েছে। এমনকি রেশন (West Bengal Ration System) সামগ্রীর কারছুপিতে নাম উঠে এসেছে বেশ কিছু চেনা মুখেরও। তারপরেও যখন দুর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না তখন আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।

Advertisements

আরো পড়ুন: রাতারাতি ২০% নাম কাটা যায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা থেকে, এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ কি!

সরকার থেকে সর্বদা মানুষ গুনত চাল, ডাল, গম, আটা পাঠানো হয় রেশনে। কিন্তু জায়গায় জায়গায় অভিযোগ করা হচ্ছে যে এই রেশন সামগ্রীর চাল, আটা, গম, রেশন ডিলাররা বাইরে বাজারে বিক্রি করছে। এবং সেখান থেকে বেশ মোটা টাকা উপার্জন করছে। এবার থেকে রেশন ডিলারদের প্রতি নিয়ত চাল ডাল আটা সবকিছুই হিসেব পুঙ্খানুপুঙ্খ দিতে হবে সরকারকে। যদি অতিরিক্ত পরিমাণ চাল, ডাল, আটা বেঁচে যায়, তবে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে সেই সমস্ত রেশন ডিলারদের।

আর এই হিসেব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোন মানুষ নয় বেশি পরিমাণে বসানো হচ্ছে ই-পস নামক যন্ত্রকে। এই ই-পসে মেশিনের মাধ্যমে কত পরিমান চাল, ডাল বন্টন করা হয়েছে তার পাকা হিসেবে ধরা পড়বে। হিসেবে গড়মিল হলেই ধরা হবে সেই সমস্ত রেশন ডিলারদের। এমনকি দুর্নীতি ধরা পড়লে বাতিল করা হবে লাইসেন্স। যার জন্য একটু সময় দেওয়া হবে না।

Advertisements