নিজস্ব প্রতিবেদন: একটি মা দুর্গার দাম ৩৩ লাখ টাকা। আবার রামের কাহিনীর দাম দেড় লাখ টাকা। তবে কেন এত দাম তা নিয়ে অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে পারে। এত দামের পিছনে রয়েছে অভূতপূর্ব শিল্পকর্ম এবং সেগুলি তৈরি করার সময়। কোনটি তৈরি করতে সময় লেগেছে চার বছরের বেশি, আবার কোনটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় দেড় থেকে দু বছর। এই সকল শিল্পকর্মের দাম দেশের পাশাপাশি বিদেশেও যথেষ্ট সমাদৃত। এমন দামী দামী শিল্পকর্ম ফুটে উঠেছে মমতাজ বিবি নামে এক শিল্পী।
মমতাজ বিবি হলেন বীরভূমের বোলপুরের নতুন পুকুরের বাসিন্দা। তিনি কাঁথা স্টিচের কাজ করেন এবং সেই কাঁথা স্টিচের মাধ্যমেই কখনো ফুটিয়ে তুলেছেন রামায়ণ থেকে শুরু করে মহাভারত সহ নবদুর্গার পৌরাণিক কাহিনী। এছাড়াও তার হস্তশিল্পে ফুটে উঠেছে কখনো রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রকল্প।
শাড়ির পাশাপাশি তিনি বাড়ির দেওয়াল সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য তৈরি করেছেন বিভিন্ন ধরনের ওয়াল হ্যাংগিং। আবার কখনো তৈরি করেছেন অন্যান্য জিনিসপত্র। মোটের উপর বোলপুরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের এই মহিলা আজ তার হস্তশিল্পের জন্য বিশ্বের দরবারে সমাদৃত।
আরও পড়ুন: Digha Cable Landing Station: দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে কাজ, সমুদ্রের নীচে এবার জিও-র কেবল
তার হাতে তৈরি রামায়ণ, মহাভারতের ঘটনাবলির ক্ষেত্রে সময় লেগেছে প্রায় দুবছর। অন্যদিকে মা দুর্গার যে শাড়ি তিনি তৈরি করেছেন সেটি তৈরি করতে সময় লেগেছে, তাই পাঁচ বছর। মমতাজ বিবি ছাড়াও এই কাজে যে সকল মহিলারা হাত মিলিয়েছেন তারা রয়েছেন আরও তিনজন।
নিপুন হস্তশিল্পের জন্য মমতাজ বিবি জেলা স্তরে ছয় বার পুরস্কৃত হয়েছেন। এছাড়াও আমেরিকায় গিয়েও তিনি তার হস্তশিল্পের প্রদর্শনী করেছেন। তার এমন হস্তশিল্প শুধু দামি তা নয়, পাশাপাশি তারই হস্তশিল্প আজ দেশ বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় আলোচিত হয়ে রয়েছে।
মমতাজ বিবির হাতের তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্প দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাওয়ার পাশাপাশি তার একটি দোকান রয়েছে বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজারে। যারা তার হস্তশিল্প দেখতে চান অথবা কিনতে চান তারা ওই দোকানে গেলেও খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।