Mango Seed is a hidden youth-retaining medicine: ফলের রাজা আম। বেশিরভাগ বাঙালির কাছে আম প্রিয় ফল। শুধু বাঙালি নয়, সারা পৃথিবীর প্রায় সমস্ত জাতির মানুষই আম খেতে খুবই ভালোবাসেন। গরমকাল পড়ে গেছে তাই আমের সিজনও শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই বাজারে পাকা বা কাঁচা দু ধরনের আমেরই বিক্রি বেশ রমরমিয়ে চলছে বাজারে। আমের জন্মস্থান নিয়ে তর্ক বিতর্ক থাকলেও, ভারতবর্ষই যে এর উৎপত্তিস্থল তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই কারো। ইতিহাস থেকে জানা যায়, আলেকজান্ডার সিন্ধু উপত্যকায় এসে আম খেয়ে মুগ্ধ হন। সেই থেকেই আমের এত প্রচার সারা বিশ্ব জুড়ে। আম ছাড়াও আমের আঁটিও (Mango Seeds) কিন্তু বেশ কার্যকরী। সেই বিষয়েই আলোকপাত করা হল আজকের প্রতিবেদনে।
সারা বিশ্বে মোট ৩৫ রকম প্রজাতির আম পাওয়া যায়। এই প্রজাতি গুলির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কয়েকশো জাতের আম। ফজলি, ল্যাংড়া, আম্রপালি, হিমসাগর, গোপাল ভোগ, কাঁচা মিঠা ইত্যাদি আমের চাহিদা সব সময় তুঙ্গে। ইদানিং আলফানসো জাতের আমের কদরও অনেকটাই বেড়ে গেছে। আলাদা আলাদা জাতের আমের মধ্যে তাদের রঙ, রূপ, গন্ধ, আকার সব কিছুরই পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ভারতের সবচেয়ে বেশি পরিমাণে আম চাষ হয় মালদাহ ও মুর্শিদাবাদ এলাকায়।
আম খেতে তো আমরা সবাই ভালবাসি আমের অনেক উপকারিতাও রয়েছে। রসালো এই ফলটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু আমরা আম খেয়ে আমের আঁটিটা ফেলে দি। মূলত আমের রসালো শাস টুকুই খাওয়া হয়। বাকি খোসা বা আঁটি সবই ফেলে দেওয়া হয় বজ্র হিসেবে। কিন্তু আপনি কি জানেন? আমের আঁটি (Mango Seeds) আপনার চেহারা একেবারে পাল্টে দিতে পারে। আমের রসালো শাসের অংশ ছাড়াও আঁটিতেও কিন্তু গুণাগুণ কিছু কম নেই।
আরও পড়ুন ? Skin care tips: ৪০ বছর বয়সেও ২৫ বছরের যৌবনে ভরা ত্বক! মানতে হবে এই ৪ টোটকা
বিশেষজ্ঞদের মতে আমের আঁটিতে (Mango Seeds) এমন অনেক উপাদান রয়েছে যা মানুষের শরীরের পক্ষে বেশ কার্যকরী। আমের আঁটিতে রয়েছে ভিটামিন এ,সি ও ই। যা আমাদের ত্বককে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কাঁচা আমের আঁটি মুখে মাখলেই মুখের দাগ ছোপের সমস্যা একেবারে দূর হয়ে যাবে। আঁটি মুখে মাখারও কিছু নিয়ম আছে। আমের আঁটি কিভাবে মুখে মাখলে উপকার পাবেন, জানতে চাইলে আজকের প্রতিবেদনটি পুরোটা পড়তে হবে।
প্রথমে আম ও আঁটি (Mango Seeds) আলাদা করে নিন। ভালো করে ধুয়ে আঁটি টাকে যতটা সম্ভব মসৃণ ভাবে গুঁড়ো করে নিন। তারপর ওই পেস্ট মুখে লাগাতে পারবেন। কিছুদিন লাগানোর পরেই বুঝতে পারবেন ফলাফল। ত্বকের জেল্লা বাড়বে, ত্বক আরো উজ্জ্বল হবে। ত্বকের দাগছোপ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে। ত্বক অনেক বেশি টানটান হবে। এই পেস্ট যে শুধুমাত্র মুখেই মাখতে হবে, তার কিন্তু কোন মানে নেই। শরীরের যে কোন অংশে যদি কালো দাগ থেকে থাকে সেই অংশেই এই আঁটির গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন আপনি। উপকার পাবেন হাতেনাতে।