নিজস্ব প্রতিবেদন : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর হিড়িক পড়েছিল নেতা-নেত্রীদের মধ্যে। তবে সেই সময়ই তৃণমূলের একাধিক বরিষ্ঠ নেতারা দাবি করেছিলেন, ‘যারা এখন যাচ্ছে তারা ভোটের পর ফিরে আসার জন্য লাইন দিতে শুরু করবেন। তখন কিন্তু দরজাটা খোলা নাও থাকতে পারে।’
আর এই সকল ভবিষ্যৎবাণী যেন বাস্তবায়িত হচ্ছে ভোট পরবর্তী ফলাফলের পর। ইতিমধ্যেই দল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া একাধিক প্রাক্তন তৃণমূল নেতা নেত্রী দলে ফেরার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তবে এদের ছাড়াও বিজেপির একাধিক সাংসদ এবং বিধায়কও নাকি তৃণমূলে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন, এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রবিবার কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, “শুধু দলত্যাগীরাই নন। তারা ছাড়াও বিজেপির ৭ থেকে ৮ জন বিধায়ক তৃণমূলের দিকে ঝুঁকছেন। এই তালিকায় বিধায়করা ছাড়াও রয়েছেন ৩ জন সাংসদ। আর তাদের দলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়রা।” তবে কুনাল ঘোষ এমনটা দাবি করলেও স্বাভাবিক নিয়মেই তাদের নাম প্রকাশ্যে আনেন নি।
[aaroporuntag]
বিজেপি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ পার করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নামলেও তাদের ৭৭-এ থেমে যেতে হয়। এরমধ্যে আবার দুই জন সাংসদ ইতিমধ্যেই পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। অর্থাৎ বর্তমানে বিজেপির মোট বিধায়ক সংখ্যা হলো ৭৫। আর এরপর যদি কুণাল ঘোষের দাবি অনুযায়ী তা বাস্তবায়িত হয়ে যায় তাহলে তা বিজেপির পক্ষে বেশ চাপের হবে। কারণ এক ধাক্কায় বিধায়ক সংখ্যা অনেকটা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কমে যাবে সাংসদ সংখ্যাও।