নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথম দফার লকডাউনের পর কিছুদিন জনজীবন স্বাভাবিক হতে না হতেই নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে ইউরোপের বেশ কিছু দেশে। আর এই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিরিখে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত স্পেন। স্পেনের মাদ্রিদে ইতিমধ্যেই জারি হয়ে গিয়েছে লকডাউন। ক্যাটালোনিয়ার বেশ কিছু অংশে বন্ধ পাব, রেস্তোরাঁ। এই সকল এলাকায় লকডাউন জারি করা হয়েছে ১৫ দিনের জন্য।
অন্যদিকে আগামী শনিবার থেকে ফ্রান্সের প্যারিস, লিয়ঁ, মার্সেই, তুলুসের মত ৯টি শহরে জারি হচ্ছে লকডাউনের পাশাপাশি কারফিউ। এই সকল শহরগুলিতে দিনের বেলা আংশিকভাবে খোলা থাকবে দোকানপাট। আর রাত্রি ন’টা থেকে সকাল ছয়’টা পর্যন্ত চলবে সম্পূর্ণ শাটডাউন। আর এই নিয়ম বলবৎ থাকবে টানা ছয় মাস বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ শুক্রবার একটি দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “যেভাবে সংক্রমণ ঘটছে, তা আটকাতে হবে। আমাদের কিছু একটা করতেই হবে।”
?? A curfew will be imposed in Ile-de-France, Grenoble, Lille, Lyon, Aix-Marseille, Montpellier, Rouen, Saint Etienne and Toulouse starting from Saturday, for a duration of at least four weeks
Residents in those areas will not be allowed to be outdoors between 9pm and 6am ⤵️ pic.twitter.com/JSAuqGz5Hj
— FRANCE 24 English (@France24_en) October 15, 2020
ফ্রান্সের পাশাপাশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঠেকাতে জার্মানিতেও নতুন করে কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জানিয়েছেন, “আমার কাছে একটা বিষয় স্পষ্ট, এখন আমরা যা করব তাই ঠিক করে দেবে কিভাবে অতিমারির পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবো।”
ইউরোপের এই সকল গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলি ছাড়াও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে রোমেও। যেখানে ইতিমধ্যেই বন্ধ করা হয়েছে পার্টি, ফুটবল ম্যাচ এবং পানশালা। লন্ডনের নতুন করে জারি হচ্ছে বিধি নিষেধ। সেখানে পাব অথবা রেস্তোরাঁয় দেখা-সাক্ষাৎ করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমনকি খুব প্রয়োজন ছাড়া সরকারি যানবাহন চাপার ক্ষেত্রেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর পাশাপাশি এক সঙ্গে ছয় জন জড়ো হওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এখানেই শেষ নয়, নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে এসেক্স, লিভারপুল, ম্যাঞ্চেস্টারেও।
বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর খুব দ্রুত সব থেকে বেশি খারাপ অবস্থার মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিল ইতালি, ফ্রান্স, ব্রিটেন ইউরোপের দেশগুলি। আর এই সকল দেশের বিভিন্ন শহরে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। যাওয়ার পরেই প্রশাসনিকভাবে সংক্রমণ ঠেকাতে শুরু হয়েছে পদক্ষেপ। অন্যদিকে ইতালিতে গত বুধবার একদিনে ৭৩৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর এই আক্রান্তের সংখ্যা এযাবত ওই দেশে দৈনিক সংক্রমণে সর্বাধিক।