Post Office Scheme: বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবথেকে জনপ্রিয় হলো ব্যাংক অথবা পোস্ট অফিস। যদিও শেয়ার মার্কেট অথবা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি রিটার্ন পাওয়ার সুযোগ থাকে কিন্তু তারপরও সাধারণের কাছে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় ব্যাংক অথবা পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমগুলি। এর কারণ শেয়ার মার্কেট অথবা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে তা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু ব্যাংক অথবা পোস্ট অফিস থেকে পাওয়া যায় নিশ্চিত রিটার্নের ভরসা। পোস্ট অফিসে সবথেকে জনপ্রিয় স্কিমগুলি হল ফিক্সড ডিপোজিট অথবা রেকারিং ডিপোজিট। কিন্তু পোস্ট অফিসে এমন ১০ টি স্কিম (Post Office Scheme) রয়েছে যা আপনাকে লাভের মুখ দেখাতে পারে এই স্কিমগুলি বিনিয়োগকারীকে মোটা অংকের সুদ অফার করে।
1. ন্যাশনাল সেভিংস রেকারিং ডিপোজিট
শুরুতেই বলা হয়েছে যে পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিট অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্রকল্প (Post Office Scheme)। সেই রেকারিং এর মধ্যে অন্যতম ন্যাশনাল সেভিংস রেকারিং ডিপোজিট। ন্যূনতম ১০০ থেকে শুরু করে যতোখুশি করা যাবে বিনিয়োগ বিনিয়োগের কোন ঊর্ধ্বসীমা ধার্য করা হয় না এই স্কিমে।
2. পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টস
ব্যাংকের মতন সেভিংস অ্যাকাউন্ট খোলা যায় পোস্ট অফিসেও (Post Office Scheme) তবে সেক্ষেত্রে নূন্যতম ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করা বাধ্যতামূলক। এই স্কিমে সুদ দেবার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ নিয়ম পালন করা হয়। মাসের ১০ তারিখ থেকে শেষ দিন অব্দি অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম যত টাকা থাকবে তার ওপর ভিত্তি করেই স্থির করা হবে সুদের পরিমাণ।
3. ন্যাশনাল সেভিংস টাইম ডিপোজিট
পোস্ট অফিসের এই স্কিমটিতে (Post Office Scheme) বিনিয়োগ করার সময় শুরুতেই মেয়াদ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। পাঁচ বছর, তিন বছর অথবা দু বছরের মেয়াদের জন্য এই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। কিন্তু এই অ্যাকাউন্টটি খুলতে ন্যূনতম হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হয়।
4. ন্যাশনাল সেভিংস মাসিক ইনকাম অ্যাকাউন্ট
পোস্ট অফিসের এই ক্রিমটিতেওবিনিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম অর্থ ১০০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। তবে এই স্কিমটিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা রয়েছে যদি একক অ্যাকাউন্ট হিসেবে বিনিয়োগ করতে চান তবে ন লক্ষ টাকা অব্দি বিনিয়োগ করার অনুমতি দেওয়া হবে। যদি যৌথ একাউন্ট হিসেবে বিনিয়োগ করেন তাহলে ১৫ লাখ টাকা অব্দি বিনিয়োগ করতে পারবেন।
5. ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট
পোস্ট অফিসের এই স্কিমটিতেও (Post Office Scheme বিনিয়োগ করার জন্য নূন্যতম অর্থ ধার্য করা হয়েছে ১০০০ টাকা। তবে এটির কোন উর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা নেই। আপনি যত খুশি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবেন এই স্কিমে।
6. সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্ট
সুকন্যা সমৃদ্ধি অ্যাকাউন্টও পোস্ট অফিসের অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ নিয়ম নির্ধারণ করা রয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য মাসে বা বছরে বিনিয়োগ করার জন্য কোন নির্দিষ্ট অর্থসীমা ধার্য করা হয়নি। তবে একটি অর্থবর্ষে ন্যূনতম ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০০০ টাকা অব্দি বিনিয়োগ করা যাবে। এবার কোন মাসে আপনি কত টাকা বিনিয়োগ করবেন সেটা সম্পূর্ণই বিনিয়োগকারীর উপর নির্ভর করছে।
7. সিনিয়ার সিটিজেন সেভিংস স্কিম অ্যাকাউন্ট
অবসরপ্রাপ্ত এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই পোস্ট অফিস বা ব্যাংকের বিভিন্ন স্কিমে বিনিয়োগ করার প্রবণতা একটু বেশিই লক্ষ্য করা যায়। তাই তাদের জন্য পোস্ট অফিসে যে বিশেষ কোনো প্রকল্প রাখা হবে তাতে অবাক হবার কিছুই নেই। পোস্ট অফিসে রয়েছে সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম। মাত্র ১০০০ টাকা দিয়ে খোলা যায় এই অ্যাকাউন্ট এরপর সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা অব্দি একাউন্টে রাখার অনুমতি দেয় পোস্ট অফিস।
8. পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট
পোস্ট অফিসের এই প্রকল্পটি (Post Office Scheme) সব সময়ই জনপ্রিয়তা পেয়েছে সাধারণের মধ্যে। এই প্রকল্পে ন্যূনতম ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫০০০০ টাকা অব্দি বিনিয়োগ করা যায় তবে বিনিয়োগ যে সবসময় একবারেই করতে হবে তার কোন মানে নেই। বিনিয়োগকারী চাইলে কিস্তির মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন।
9. কিষান বিকাশ পত্র
পোস্ট অফিসে বহুদিন ধরে প্রচলিত এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্রকল্প হল কিষান বিকাশ পত্র (Post Office Scheme)। এই প্রকল্পে বিনিয়োগের কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই তবে ন্যূনতম ১০০০ টাকা বিনিয়োগ করলে তবেই অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
10. মহিলা সম্মান সেভিংস অ্যাকাউন্ট
মহিলাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সবসময়ই কিছু না কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভেবে থাকে বিভিন্ন সংস্থা। পোস্ট অফিসের ক্ষেত্রেও এর অন্যথা হয়নি। পোস্ট অফিসের (Post Office Scheme) মহিলাদের জন্য রয়েছে মহিলা সম্মান সেভিংস অ্যাকাউন্ট। মাত্র ১০০০ টাকা থেকে বিনিয়োগ করতে পারেন এই অ্যাকাউন্টে। বিনিয়োগ করার ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে দুলক্ষ টাকা।