অমরনাথ দত্ত : এবার বীরভূমের মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার। আর এই পোস্টটার ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে জেলাজুড়ে। পোস্টারের খবর পেতেই পুলিশের তরফ থেকে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যে সকল পোস্টারগুলি টাঙ্গানো হয়েছিল সেগুলিকে খুলে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
বুধবার সকালে বীরভূমের পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত গোলাপবাগ, হাঁসড়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মাওবাদীদের নামে এই সকল পোস্ট আর দেখতে পাবেন এলাকার বাসিন্দারা। তারপর পুলিশের তরফ থেকে গিয়েছে সকল পোস্টার খুলে নেওয়া হয় এবং এর তদন্ত শুরু করা হয়। তবে এই পোস্টটার ঘিরে এলাকায় যেমন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ঠিক তেমনই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
পোস্টারের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, “ওই এলাকা একসময় অশান্ত ছিল। আর এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ শুরু করেছিল বিজেপি নামক একটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু এখন সেখানে বিজেপির কোন অস্তিত্ব নাই। যে কারণে তারাই রাতের অন্ধকারে মাওবাদীদের নামে এই সকল পোস্টার টাঙ্গিয়ে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাতের অন্ধকারে বিজেপি বাজার গরম করতে চাইছে। আমাদের ক্ষমতা আছে বিজেপিকে এখান থেকে একদিনে উচ্ছেদ করে দেওয়ার। এখানে মাওবাদীর কোন অস্তিত্ব নেই, এটা সম্পূর্ণ বিজেপির কাজ।”
বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা পুলিশের কাছে আবেদন করছি এই ঘটনার জন্য পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে কারা মাওবাদীদের নামে পোস্টার দিল তা খুঁজে বের করতে।” পাশাপাশি বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে মনে করছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমার মনে হয় এটা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের শিকার। যারা ভাগ পাইনি অথবা যারা টাকা দিয়েছে তাদের মধ্যে কেউ পড়ে থাকতে পারে। কারণ টাকা নিয়ে এরকম অনেক ঘটনা ঘটছে।”
যে পোস্টটা ঘিরে এত বিতর্কে সূত্রপাত সেই পোস্টারে কি লেখা রয়েছে? পোস্টারে ১৪ জনের নাম লেখা রয়েছে এবং সেই নামের পাশে (X) চিহ্ন দেওয়া রয়েছে। এর পাশাপাশি পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে জনগণের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রসঙ্গ। আর সবার শেষে লেখা রয়েছে মাওবাদী।