নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার আগে শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার (Jagadish Chandra Barma Basunia) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলল বিজেপি। যে জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াকে নিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায় হীরের টুকরো প্রার্থী বলে ঘোষণা করেছিলেন সেই প্রার্থী এখন দুই বউ নিয়ে বিতর্কে (Marriage Controversy of Jagadish Basunia)।
কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া একজন হাই স্কুলের শিক্ষক। তিনি শুধু এবার লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন তা নয়, এর পাশাপাশি তিনি সিতাই বিধানসভার বিধায়কও। আর একজন শিক্ষক ও বিধায়ক হয়ে দ্বিতীয় বিয়ে গোপন রাখার ঘটনা রীতিমত শোরগোল ফেলে দিয়েছে কোচবিহারে। পাশাপাশি মমতার ‘হীরের টুকরো’ প্রার্থী নিয়ে এখন খোঁটা দিতে ছাড়ছে না বিজেপি।
জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া যে হলফনামা নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে সেখানে দুই বিয়ের উল্লেখ করেনি। এছাড়াও বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, হিন্দু বিবাহ যে আইন রয়েছে সেই আইন অনুযায়ী একজনকে ডিভোর্স না দিয়ে অন্যজনকে বিয়ে করা আইনবিরুদ্ধ। আর এসবের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে বিজেপির তরফ থেকে প্রার্থী পদ বাতিল করার দাবিও তোলা হয়।
আরও পড়ুন ? BJP vs TMC West Bengal: বাংলাতেও বিজেপির কাছে পাত্তা পাবে না তৃণমূল, ৪২ আসনের কে কোথায় জিততে পারে
বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী জানিয়েছেন, ‘জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াকে দুজন বিবাহিত মহিলা নিজেদের স্বামী হিসেবে ভোটার কার্ডে উল্লেখ করেছেন। এমনটা কিভাবে সম্ভব। হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী এটা সম্ভব নয়।’ অন্যদিকে দুই বিয়ের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া এবং এই বিভ্রাটের কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, তার প্রথম স্ত্রী দিনহাটার বাড়িতে তার থেকে আলাদা থাকেন। তাদের এখনো ডিভোর্স না হওয়ায় বৈধ স্বামী হিসেবে তার নাম ভোটার কার্ডে উল্লেখ রয়েছে। অন্যদিকে তিনি সিতাইয়ে যেখানে থাকেন সেখানে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রয়েছেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তিনি সংসার করেন।
মমতার হীরের টুকরো প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী হলেন সঙ্গীতা রায় বসুনিয়া। তিনি কেবলমাত্র একজন গৃহবধূ নন। এর পাশাপাশি তিনি তৃণমূল নেত্রী এবং সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই সকল অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চান না বলেই দাবি করেছেন।