School Birbhum: গরমের ছুটি শেষ, মর্নিং স্কুল, গিয়েই দেখলেন শিক্ষক শিক্ষিকারা দেখলেন যা-তা অবস্থা

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর এপ্রিল মাস থেকে তীব্র গরম শুরু হওয়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক সমস্ত স্কুলের গরমের ছুটি (Summer Vacation) এগিয়ে আনা হয়। শুধু গরমের ছুটি এগিয়ে আনা নয়, পাশাপাশি টানা ৪৯ দিন ধরে চলে ছুটি। দীর্ঘ সময়ের ছুটির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলের তরফ থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন তোলা হয়। আর এরপর গত ১০ জুন থেকে পুনরায় পড়ুয়াদের জন্য খুলেছে সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলি।

Advertisements

১০ জুন থেকে স্কুল খোলার পর আবার তীব্র গরমের কারণে পড়ুয়াদের অবস্থা নাজেহাল হতে শুরু করে। অধিকাংশ স্কুলেই পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার একেবারেই কমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা দপ্তর স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে কখন স্কুল করা হবে সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরেই শুরু হয় মর্নিং স্কুল। এখন রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ স্কুলে সকালে বসছে এবং বেলা বাড়ার আগেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

Advertisements

তবে এসবের মধ্যেই বীরভূমের একটি স্কুলে (School Birbhum) ঘটে গেল অন্যরকম একটি ঘটনা। মর্নিং স্কুলের কারণে বুধবার সাতসকালেই স্কুলের পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত হন। এরপর ফুলমণি হাঁসদা নামে এক শিক্ষিকা স্কুলের অফিস রুম খুলতে যান। কিন্তু দেখা যায় স্কুলের অফিস রুম খুলছে না। তারপর জোর করেই তিনি অফিস রুম খোলেন, আর অফিস রুম খুলেই দেখেন যা-তা অবস্থা।

Advertisements

আরও পড়ুন ? WB Government Old Age Pension: লক্ষ্মীর ভান্ডার অতীত! এবার আরও এক প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা রাজ্যের, মিলবে প্রতিমাসে ১০০০ টাকা

বুধবার এমন ঘটনাটি যে স্কুলে ঘটেছে সেই স্কুলটি সদাইপুর থানার অন্তর্গত এলাকায় অবস্থিত পানুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলের ঐ শিক্ষিকা অফিস রুম খুলে দেখতে পান সমস্ত জিনিস লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের খেলাধুলা করার জন্য স্কুলের মধ্যে যে সকল সামগ্রী ছিল সেগুলি এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, মিড ডে মিলের জন্য যে চাল রাখা হয়েছিল তা একটু কম লাগছে এবং একটি বস্তা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা সরানো হয়েছে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে সদাইপুর থানার পুলিশ ঘটনার স্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।

এখন প্রশ্ন হল কেন এইভাবে স্কুলের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করা হলো? হতে পারে চুরির উদ্দেশ্যে কেউবা কারা স্কুলে হানা দিয়েছিলেন অথবা অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল। তবে স্কুলের ওই শিক্ষিকা দাবি করেছেন, “জিনিসপত্র চুরি গিয়েছে কিনা তা এখনই বলা যাবে না। তবে দেখে মনে হচ্ছে কোন কিছু চুরি যায়নি। চালের পরিমাণ সামান্য একটু কম লাগছে। হতে পারে কেউবা কারা বদমাইশি করতে এমন কান্ড ঘটিয়েছেন।”

Advertisements