নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওড়া থেকে অন্ডাল, দুবরাজপুর, সিউড়ি হয়ে রামপুরহাট এবং রামপুরহাট থেকে সিউড়ি, দুবরাজপুর এবং অন্ডাল হয়ে হাওড়া যাতায়াত করতো ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার। এই ট্রেনটি বীরভূমের পশ্চিমের এলাকাগুলির বাসিন্দাদের কাছে গণপরিবহনের মেরুদন্ড। কারণ এছাড়া আর সুবিধাজনক সময়ে হাওড়া যাওয়ার জন্য অন্য কোন ট্রেন নেই।
তবে গত বছর অক্টোবর মাসে এই ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনের নাম পরিবর্তন করে করা হয় ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেস। নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি ট্রেনটির যাত্রাপথ বাড়িয়ে করা হয় দুমকা পর্যন্ত। আর এবার নতুন করে এই ট্রেনের যাত্রাপথ বাড়তে চলেছে। আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে যাত্রাপথ বাড়িয়ে নতুন রুটে ট্রেন চলাচল করবে। এবার এই ট্রেনটি দমকার পরিবর্তে যাবে দেওঘর পর্যন্ত এবং দেওঘর থেকে পুনরায় ফিরে আসবে হাওড়া।
তবে ট্রেনটির যাত্রাপথ বৃদ্ধি করা হলেও আগের মতোই এই ট্রেনটি রামপুরহাট, সিউড়ি, দুবরাজপুর সহ বিভিন্ন স্টেশনে স্টপেজ দেবে। পাশাপাশি আগের সময়সীমার পরিবর্তন হচ্ছে না। হাওড়া থেকে ট্রেনটি ছাড়বে বৈকাল ৪:২৫ মিনিটে এবং দেওঘর পৌঁছাবে রাত্রি ১:৩৫ মিনিটে। অন্যদিকে দেওঘর থেকে ট্রেন ছাড়বে রাত্রি ২ টোর সময় এবং হাওড়া পৌঁছাবে ১১:৩৫ মিনিটে।
তবে ট্রেনের রুট বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বীরভূম এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই ক্ষোভ আগেও বৃদ্ধি পেয়েছিল যে সময় এই ট্রেনটির যাত্রাপথ বাড়িয়ে দুমকা পর্যন্ত করা হয়েছিল। এবারের যাত্রাপথ বাড়িয়ে দেওঘর পর্যন্ত হওয়াই স্বাভাবিক ভাবেই হোক আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যাত্রীদের ক্ষোভ মূলত আসন নিয়ে। কারণ তাদের যুক্তি, এমনিতেই যখন রামপুরহাট থেকে এই ট্রেনটি রওনা দিত সেই সময় সিউড়ি এবং তার পরবর্তী স্টেশনগুলি থেকে ট্রেনে উঠলে বসার আসন পাওয়া যেত না। এখন দুমকা পর্যন্ত হয়ে যাওয়ার পর এই আসন সংকট আরও বেড়েছে। আবার এর যাত্রাপথ দেওঘর হয়ে যাওয়ার ফলে পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে তা নিয়েই বাড়ছে দুশ্চিন্তা।