নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিকে অতি গভীর নিম্নচাপ আর অন্যদিকে মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় থাকার কারণে শুক্রবার রাত থেকেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। শুক্রবার রাত থেকে এমন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর শনিবার দিনভর সমানতালে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখা যায় দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাকে। এমন অতিবৃষ্টির কারণে স্বাভাবিকভাবেই নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের। এমন পরিস্থিতি থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা জানাল আবহাওয়া দপ্তর (Latest Weather Update)।
শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির ফলে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা যখন গৃহবন্দী সেই সময় আবার দুর্ঘটনাও ঘটতে দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। বীরভূমের সিউড়িতে অতি বৃষ্টির কারণে চলন্ত অটোর উপর গাছ পড়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে ননীগোপাল ব্যাপারী নামে এক ব্যবসায়ীর। পাশাপাশি উজ্জ্বল সিং নামে ওই অটোচালক গুরুতর আহত। একইভাবে সিউড়ির রবীন্দ্রপল্লী এলাকায় এক পথ চলতির গায়ে পাঁচিল ভেঙ্গে পড়ায় তিনিও আহত।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস থেকে যা জানা যাচ্ছে তাতে শনিবার উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি বজায় থাকার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে রবিবারও বৃষ্টির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। তবে রবিবার বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে জানানো হয়েছে। রবিবার উত্তরবঙ্গের তিন জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের ছয় জেলার জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
রবিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলায় ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার অর্থাৎ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই সকল জেলার জন্য হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। তবে সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গের জন্য কোন সতর্কতা নেই।
রবিবারের পর সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হতে শুরু করবে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী মঙ্গলবার উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আপাতত ১৫ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ রবিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।