Mid Day Meal Sandeshkhali: খুদেদের খাবারের প্রকল্পেও কাটমানি! সন্দেশখালিতে মিড ডে মিলেও দুর্নীতি

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা ভোটের আগে বারবার শিরোনামে এসেছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। সন্দেশখালি সেই এলাকা যেখানে পৌঁছাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মানুষদের। তবে এই অপরিচিত জায়গাটিই এখন এমনভাবে শিরোনামে এসেছে যে সন্দেশখালি নাম শুনলেই গোটা দেশের মানুষ বাংলার ওই এক টুকরো জায়গাকে চিনে যাচ্ছেন।

Advertisements

মহিলাদের নিয়ে টানাটানি, জমি দখল, নানান দুর্নীতি নিয়ে যখন সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের বিতর্ক শেষ হচ্ছে না ঠিক সেই সময় আবার নতুন বিতর্ক দানা বাঁধলো মিড ডে মিল প্রকল্পকে (Mid Day Meal) নিয়ে। শিশুদের খাবার নিয়ে যে প্রকল্প কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে চালানো হয়ে থাকে সেই প্রকল্পেও কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ উঠল। আর এই অভিযোগ এবার এনেছেন খোদ এলাকার প্রধান শিক্ষকরা।

Advertisements

নতুন বিতর্কের সূত্রপাত মূলত মিড ডে মিল প্রকল্পের জন্য বাসনপত্র সহ নানান সরঞ্জাম কেনাকে কেন্দ্র করে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, দিন কয়েক আগে ১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৬টি উচ্চ প্রাথমিক ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্র মিলিয়ে মোট ২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড ডে মিলের বাসনপত্র ও সরঞ্জাম কেনার জন্য ৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছিল। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাক থাকলেও বাসনপত্র ও সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রধান শিক্ষকেরাই।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Prashant Kishore on Sandeshkhali: সন্দেশখালি বিজেপির মাইলেজ! স্বীকার করছেন খোদ ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর

প্রশাসনের তরফ থেকে ওই ২৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য যে টাকা দেওয়া হয়েছিল সেই টাকা অনুযায়ী এক একটি স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার নিরিখে ১০ হাজার টাকা থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষকদের একাংশের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, ব্লকের মিড ডে মিলের হিসাবরক্ষক শম্ভু শরণ WhatsApp গ্রুপে নির্দেশ দেন, ওই টাকায় ধামাখালিতে থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পাশে নির্দিষ্ট করে দেওয়া দোকান থেকেই সরঞ্জাম কিনতে হবে। সরঞ্জাম কেনার জন্য দিন ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল এবং তা ছিল ৫ এপ্রিল।

শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, যে দোকানটি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল সেই দোকানের জিনিসপত্রের দাম বেশি হলেও তাদের বাধ্য হয়ে সেখান থেকেই সরঞ্জাম কিনতে হয়েছে। আর এই নির্দেশের ফলেই দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা। যদিও অভিযুক্ত হিসাবরক্ষক দাবি করেছেন, কেবলমাত্র নজরদারির সুবিধার জন্য ওই দোকান থেকে জিনিসপত্র নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এর থেকে আর বেশি কিছু তিনি বলতে পারবেন না।

Advertisements