নিজস্ব প্রতিবেদন : খালি পেটে কাজ হয় না। খালি পেটে যেমন কাজ হয় না, ঠিক সেই রকমই খালি পেটে পড়াশোনাও হয় না। আর এই কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) তথা পিএম পোষণ। যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
তবে পড়ুয়াদের পুষ্টি, পড়ুয়াদের পেট ভর্তি রাখা ইত্যাদির কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা চালু করা হলেও বিভিন্ন সময় এই ব্যবস্থাই নানান অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। কোথাও সঠিকভাবে রান্নার অভাব, কোথাও যা খুশি তাই খাওয়ানো, কোথাও আবার খাবারের মান নিয়ে নানান ধরনের অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। কিন্তু এবার এইসব আর চলবে না।
মিড ডে মিল বা পিএম পোষণ নিয়ে যে সকল অভিযোগ রয়েছে সেই সকল অভিযোগের অবসান ঘটাতে এবার চালু হল সমীক্ষা (Mid Day Meal Survey)। পড়ুয়াদের জন্য এই প্রকল্প কতটা সফলভাবে রূপায়ণ করা হচ্ছে সেই বিষয়টি দেখার জন্য এবার রাজ্যের স্কুলগুলিতে সমীক্ষা চালানো হবে এবং সেই সমীক্ষার ভিত্তিতে র্যাঙ্কিং প্রদান করা হবে। এই সমীক্ষার মাধ্যমে র্যাঙ্কিং প্রদান করার ফলে যে সমস্ত স্কুল নিয়ম মানবে না তাদের পরিস্থিতি পরবর্তীতে খারাপ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ? Mid Day Meal: গরমে মিড ডে মিলের খাবারের মেনুতে বদল, নতুন মেনু দেখালো ওই স্কুলের পড়ুয়ারা
কতকগুলি মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে প্রতিটি স্কুলে এই মূল্যায়ণ চালানো হচ্ছে। শিশু শিক্ষা কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র সবই এই সমীক্ষার আওতায় থাকছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে রাজ্য স্তর থেকে মূল্যায়নের বিষয়ে জানানো হয়েছে জেলা স্তরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের। গত ১৫ এপ্রিল থেকে এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং তা চলবে এক মাস ধরে।
সমীক্ষা চলাকালীন মিড ডে মিল সংক্রান্ত প্রায় ৩০ টি তথ্য স্কুল থেকে সংগ্রহ করা হবে। যে সকল তথ্য সংগ্রহ করা হবে তার মধ্যে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের থেকে জানা হবে, গত মাসে মিড ডে মিলের জন্য তাদের কি কি খাইয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ, যে চাল ভাত হিসাবে দেওয়া হয় তা কেমন, খাদ্য সামগ্রী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে এবং নিয়ম অনুযায়ী রাখা হয় কিনা ইত্যাদি। এছাড়াও রাঁধুনি ও হেল্পাররা নিয়মিত বেতন পান কিনা, ওজন মাপার যন্ত্র রয়েছে কিনা, রান্নাঘর থেকে শুরু করে খাওয়ানোর জায়গা কেমন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ইত্যাদি সমস্ত কিছু খুঁটিয়ে দেখা হবে।