নিজস্ব প্রতিবেদন : ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়ে চলেছে পেট্রোল ডিজেল সহ অন্যান্য জ্বালানির দাম। ক্রমবর্ধমান এই সকল জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্বাভাবিকভাবেই নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষদের। বিশেষ করে সেই সকল মানুষদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি নাজেহাল যারা প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিদিন যানবাহন ব্যবহার করে থাকেন।
জ্বালানির এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে বহু মানুষকে এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেশি মাইলেজ দিচ্ছে এমন গাড়ি অথবা মোটর বাইক কিনতে। তবে দেখা যায় গাড়ি কেনার সময়ই মাইলেজের বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মাইলেজ পাওয়া যায় না। তবে বেশ কিছু উপায় মেনে গাড়ি চালালে মাইলেজ বাড়বেই বাড়বে।
১) গাড়ি চালানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে গাড়ি একরকম গতিতে চলে। বারবার অ্যাকসিলারেশন বাড়ানো কমানো করলে জ্বালানি বেশি পুড়তে থাকে। এছাড়াও ঘনঘন ব্রেক করলেও জ্বালানি বেশি খরচ হয়।
২) চারচাকা গাড়ির ক্ষেত্রে বেশি বন্ধ রেখে গাড়ি চালানো হলে গাড়ির মাইলেজ ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। সুতরাং মাইলেজ বেশি পেতে হলে খুব প্রয়োজন না পড়লে এসি চালানোর প্রয়োজন নেই।
৩) চারচাকা হোক অথবা দু’চাকা, প্রতিটি গাড়ির ক্ষেত্রে চাকায় কতটা হওয়ার প্রয়োজন হয় তা উল্লেখ থাকে। সেই নির্দেশিকা মেনে গাড়ির চাকায় হাওয়া দিলে মাইলেজ বাড়তে বাধ্য।
৪) সঠিক সময় সঠিক গিয়ার পরিবর্তন গাড়ির মাইলেজে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে। সুতরাং গাড়ি চালানোর সময় এই অভ্যাস থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি।
৫) চারচাকা গাড়ির ক্ষেত্রে জানালা খুলে গাড়ি চালালে মাইলেজে প্রভাব পড়ে। সেক্ষেত্রে গাড়ির জানালা বন্ধ করে রেখে এসি না চালিয়ে ব্লোয়ার ব্যবহার করলে গাড়ির মাইলেজ বৃদ্ধি পায়।
৬) গন্তব্যে পৌঁছানোর সময় বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে সঠিক রুট বেছে নিন যাতে জ্বালানি কম খরচ হয়।
৭) গাড়ি যাতে না থামাতে হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই গতি এমন করুন যাতে গাড়ি না থামাতে হয়। এছাড়াও ৪৫ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়িয়ে থাকতে হলে গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে দিন।
৮) ভালো মাইলেজ পেতে হলে অবশ্যই সঠিক সময়ে গাড়ি সার্ভিসিং করাতে হবে। সার্ভিসিংয়ের উপর গাড়ির মাইলেজ নির্ভর করে।
৯) গাড়ির তেল সকালের দিকে ভরলে তা মাইলেজের ওপর প্রভাব পড়ে। কারণ সকালে ঠান্ডা আবহাওয়ার জন্য জ্বালানির ঘনত্ব বেশি থাকে।