শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : লাখপতি, ক্রোড়পতি তো শুনেছেন, কিন্তু এই সবই কিন্তু মানুষের কথা শুনেছেন কখনও কি শুনেছেন পায়রা লাখ টাকার সম্পত্তির মালিক! কি, অবিশ্বাস্য লাগছে তো? লাগলেও এটাই সত্যি। যাদের কথা বলবো তারা কিন্তু মোটেই মানুষ নন, পায়রা হলেও তাদের সম্পত্তির পরিমাণ লাখ টাকা। কৌতূহল জাগছে তো? আসুন তবে এদের নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিই।
লাখপতি এই পায়রাদের বাস রাজস্থানের ছোট একটি শহর জাসনগরে। লাখ টাকার সম্পত্তির সাথে সাথে পায়রাদের প্রতি মাসে বিপুল অঙ্কের টাকা আয় হয়। পায়রাদের সম্পত্তির মোট পরিমাণ প্রায় কোটি টাকার সমান। যে স্থানের কথা বলছি ওই স্থানে পায়রাদের নামে ২৭ টি দোকান রয়েছে সাথে ১২৬ বিঘা জমির মালিকানা রয়েছে আবার ব্যাঙ্কে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ প্রায় ৩০ লক্ষ।
এতো বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক এক একজন পায়রা! এই পর্যন্ত শুনেই নিশ্চয়ই চোখ কপালে উঠবে অনেকের। কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। ১০ বিঘা জমির ওপর তৈরি ৪০০ টি গোশালা রয়েছে এই পায়রাদের নামে। দোকানগুলি থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৮০ হাজার টাকা আসে।
এছাড়াও দোকানগুলি ভাড়া দিয়ে পায়রাদের আয় হয়ে থাকে প্রায় লক্ষ লক্ষ টাকা। তবে সেই টাকার কিছু অংশ পায়রাদের দেখাশোনার কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বাকি টাকা ‘কবুতরণ ট্রাস্টের’ নামে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখা হয়। হিন্দিতে ‘কবুতর’ যার বাংলা অর্থ ‘পায়রা।’ তার থেকে এই ট্রাস্টের এমন নামকরণ।
এই পায়রাদের সম্পর্কে যা জানা গিয়েছে, বহু দশক আগে একজন শিল্পপতি পায়রাদের রক্ষনাবেক্ষনের জন্য এই ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। তবে তিনি একা নন ওই এলাকার প্রাক্তন সরপঞ্চ রামদীন চৌটিয়া ও তাঁর গুরু মুরুধর কেশরী এই ট্রাস্ট গঠনে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। অসহায় পায়রাগুলির খাবার, জলের যোগানের কথা ভেবেই এই ট্রাস্ট যার বর্তমানে এত পরিমাণ শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে।