Sujit Bose: ইডির ছোট্ট একটি কাজেই কুপোকাত সুজিত বসু, কোটিপতি হয়েও মন্ত্রীমশাই এখন চরম অসুবিধায়

নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন অর্থাৎ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার রাজ্য ফের একবার তোলপাড় হয় ইডির (ED) হানায়। ঐদিন পুরো নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে আধিকারিকরা সাতসকালেই ‘চায়ে চুমুক’ দিতে পৌঁছে যান রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose) এবং উত্তর ২৪ পরগনার বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে। মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে প্রায় ১৩ ঘন্টা তদন্ত চালানোর পর শেষমেশ ইডি আধিকারিকরা মন্ত্রীর বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে মন্ত্রীর বাড়িতে তদন্তের জন্য হানা দেওয়া এবং মাঝে একবার মন্ত্রীর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে অন্য একটি ফ্ল্যাটে যাওয়া, ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে যখন টানটান উত্তেজনা চলছে তখন হানা শেষে জানা গেল, ইডি আধিকারিকরা সেইভাবে কিছু বাজেয়াপ্ত না করলেও মন্ত্রীর একটি জিনিস নিয়ে চলে যাওয়াই মন্ত্রী মশাই বেজায় অসুবিধায় পড়েছেন। এমনকি এই অসুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভও উগড়ে দিয়েছেন।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দেওয়া এবং তদন্ত করার পর ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কিছু নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সকল নথি আধিকারিকরা তাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন। হাতেগোনা কিছু নথি সঙ্গে নিয়ে যাবার পাশাপাশি আধিকারিকদের তরফ থেকে মন্ত্রীর ফোনটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর এই ফোন নিয়ে যাওয়ার ফলেই মন্ত্রী মশাই এখন বড্ড অসুবিধায় পড়েছেন বলে দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন 👉 Sujit Bose Property: ইলেভেন পড়া সুজিত বসুর বাড়িতে ইডি! জেনে নিন কত টাকার মালিক মন্ত্রী মশাই

১৩ ঘন্টা পর ইডি আধিকারিকরা যখন মন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তখন মন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, অগ্নি নির্বাপন দপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তরের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। যে কারণে তিনি বারবার ইডি আধিকারিকদের ফোনটি না নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন তারা শোনেননি। আর এখন তার কাছে ফোন না থাকার ফলে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না এবং খুব অসুবিধায় পড়েছেন।

সন্ধ্যাবেলায় মন্ত্রী সুজিত বসু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “আমি ইডি আধিকারিকদের বলেছিলাম আপনারা যা খুশি নিয়ে যান। আমার কোন অসুবিধে নেই। শুধু আমার ফোনটি ফেরত দিয়ে যান। কিন্তু তারা আমার কোন কথা শুনেননি এবং ফোনটি নিয়ে চলে যান। ফোন নিয়ে যাওয়ার ফলে আমি চরম অসুবিধায় পড়েছি।” এর পাশাপাশি সুজিত বসু হুংকার দিয়ে জানান, তারা কোন ভুল কাজ করেননি। তারা সব সঠিক কাজ করছেন এবং মানুষের পাশে আছেন।