করোনাকে দূরে সরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে ১২টি পরামর্শ মেনে চলার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই করোনাভাইরাসে জর্জরিত। তবে এই ভাইরাস যে অপরাজেয় এমনটাও নয়। কারণ ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৮টির বেশি দেশ করোনাকে হারিয়ে জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে সক্ষম হয়েছে। আর প্রত্যেকটি দেশের ক্ষেত্রে এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কতকগুলি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে। নিউজিল্যান্ড, এশিয়ার পূর্ব তিমুর, ফিজি, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, হলি সি, পাপুয়া নিউ গিনি, সিসিলি ও ইউরোপের মন্টিনিগ্রো এই সকল দেশগুলি প্রমাণ করে দিয়েছে করোনাকেও হারানো যায়। সুতরাং আমরাও পারি এই করোনাকে হারাতে, কেবল মেনে চলতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি সম্মত নির্দেশিকা।

ভারতে ইতিমধ্যেই সংক্রমণের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে এরই মাঝে খুলতে শুরু করেছে অফিস কাছারি শপিংমল, ধর্মীয়স্থান এসব। সুতরাং আনলক পর্যায়ে আমাদের আরও বেশি সতর্কতা ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে। আর এই সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ১২টি পরামর্শ মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

১) দীর্ঘদিন লকডাউন অবস্থায় গৃহবন্দী থাকার পর কারোর সাথে দেখা হলে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেও যেন শারীরিক স্পর্শ না করে দূরত্ব বজায় রেখে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।

২) বাসস্ট্যান্ড, বাজার, শপিংমল, ধর্মীয়স্থান সমস্ত জনবহুল এলাকায় যেন ৬ ফুটের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করা হয়।

৩) সব সময় যেন মাস্ক ব্যবহার করা হয়। তাতে সেই মাস্ক হাতে তৈরি বহুবার ব্যবহারোপযোগীও হতে পারে।

৪) অযথা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ, মুখ, নাক, কান ইত্যাদিতে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৫) হাঁচি অথবা কাশির সময় সর্বদা মুখ ঢাকা রাখুন।

৬) ঘনঘন হাত ধুতে হবে। আর সেই হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে সাবান, হ্যান্ডওয়াশ অথবা ৭০% অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।

৭) গুটখা, খৈনি ইত্যাদির মতো তামাকজাত দ্রব্য থেকে বিরত থাকতে হবে। বিরত থাকতে হবে যত্রতত্র থুতু ফেলা থেকে।

৮) বেশিরভাগ সময় স্পর্শ করা বস্তুগুলিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও জীবাণুমুক্ত রাখুন। উদাহরণস্বরূপ মোবাইল ইত্যাদি।

৯) প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোবেন না এবং অপ্রয়োজনীয় সফর বাতিল করুন।

১০) করোনা সংক্রামিত ব্যক্তি এবং তাদের সেবা-শুশ্রূষায় থাকা ব্যক্তিদের সাথে বৈষম্য সৃষ্টি করবেন না।

১১) সামাজিক অনুষ্ঠান করা হলেও সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক অতিথিদের আমন্ত্রিত করেই যাতে করা হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

১২) বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত রকম জনসমাগম জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে।