নিজস্ব প্রতিবেদন : অবশেষে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে ভারত চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান (Chandrayaan) সফট ল্যান্ডিং করাতে সক্ষম হল। এর আগে এমন সফলতা অর্জন করার কৃতিত্ব ছিল কেবলমাত্র আমেরিকা রাশিয়া এবং চীনের। এই তালিকায় ভারতের নাম জুড়তে কম কাঠখড় পুড়াতে হয়নি। তিন তিন বারের প্রচেষ্টায় এমন সফলতা আসে। এমন সফলতা আনার জন্য দেশের মহাকাশ (ISRO) বিজ্ঞানীদের রাত দিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, কেননা এবার আসছে চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4)।
২৩ আগস্ট চাঁদের মাটিতে সফলভাবে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) অবতরণ করার পর এর মিশন পূর্ণ করার জন্য যখন ইসরোর বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে তোড়জোড় চলছে, সেই সময়ই আবার শুরু হয়ে গিয়েছে মিশন চন্দ্রযান ৪ নিয়ে আলোচনা। তবে আগামীর এই মিশন কেবলমাত্র ভারতের হাত ধরে হবে তা নয়। বরং আগামীর এই মিশনে নামবে ভারত এবং জাপান যৌথভাবে। ইসরোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে নতুন মিশনে নামবে জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি।
চন্দ্রযান ৩ চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করার পর রোভার প্রজ্ঞান শুরু করেছে তার নিজের দায়িত্ব পালন। চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার কাজ সে চালাচ্ছে। এই সকল কাজের মধ্যে সবচেয়ে বড় কাজ হল দক্ষিণ মেরুতে জলের সন্ধান পাওয়া। ইতিমধ্যেই চাঁদের যে সকল বড় বড় গহ্বর রয়েছে সেগুলি থেকে জলের সন্ধান পেয়েছে নাসা, ইসরো সহ অন্যান্য দেশের মহাকাশ গবেষণাগার সংস্থাগুলি। এই বিষয়টিতেই এখন সিলমোহর দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে প্রতিটি দেশ।
চন্দ্রযান ৩ যেমন চাঁদের মাটিতে জলের সন্ধান করবে ঠিক সেইরকমই আগামী দিনের মিশন চন্দ্রযান ৪-ও জলের খোঁজ চালাবে। তবে আগামী দিনের গবেষণা হবে আরও জোরদার। আর সেই জোরদার গবেষণার জন্যই ভারতের সঙ্গে হাত মেলাতে চলেছে জাপান। চন্দ্রযান ৪ যে লক্ষ্য নিয়ে মিশনে নামবে তার মূলত দুটি লক্ষ্য রয়েছে। প্রথম লক্ষ্য হলো জলের সন্ধান করা আর দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো গুণগত মান যাচাই করা।
চাঁদে জল রয়েছে এমন যে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে সেই সন্ধান যদি এই সকল অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে সত্যি হয় তাহলে পানীয় জলের চাহিদা মিটবে। কেননা ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষ বসবাস করা শুরু করলে এটিই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হয়ে দাঁড়াবে। যে কারণেই এত তোড়জোড় চলছে বিজ্ঞানীদের। আর এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না, আগামী ২০২৬ সালেই নতুন মিশন নিয়ে ভারত ও জাপান যৌথভাবে নামতে চলেছে। যার নাম হবে চন্দ্রযান ৪।