নিজস্ব প্রতিবেদন : বাবার পথই অনুসরণ করলেন মেয়ে। মিঠুন কন্যা দিশানি জোর কদমে কাজ করে চলেছেন অভিনয় জগতে। তিনি ইতিমধ্যেই কাজ করেছেন লি স্ট্র্যার্সবার্গ ইনস্টিটিউটে কেমবারলি হ্যারিস পরিচালিত সেমিনারে। সেখানে অভিনয় করেই নজর কেড়েছেন। আর এবার ডেবিউ করলেন থিয়েটারে। এখানেও তাকে প্রশংসা কুড়াতে লক্ষ্য করা গেল।
বর্তমানে বিভিন্ন মহলে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই থিয়েটার। এই থিয়েটারে মিঠুন কন্যা দিশানির অভিনয় প্রশংসা কুড়াতে শুরু করেছে। এমনকি কিংবদন্তি শিল্পী আল পাচিনো এই থিয়েটারের প্রশংসা করার পাশাপাশি দিশানির অভিনয়ের প্রশংসাও করেছেন। পাশাপাশি তিনি এই শো আরও বেশ কয়েকদিন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আর এই প্রশংসা এবং পরামর্শে স্বাভাবিকভাবেই আনন্দ জুগিয়েছে দিশানিকে।
মিঠুন কন্যা দিশানি গত কয়েক বছর ধরে অভিনয় শিখছেন। তবে এই থিয়েটার ছাড়াও এর আগেও তিনি ছবিতে অভিনয় করেছেন। সদ্য এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, নাটকে অভিনয় করা তার কাছে এক অভূতপূর্ব অনুভূতি ছিল। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন আগাগোড়া অভিনেত্রী হয়ে ওঠার স্বপ্ন রয়েছে তার মধ্যে।
বাবা যেহেতু একজন বিখ্যাত অভিনেতা সেই কারণে অভিনয় জগতে পা রেখে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করলেও তুলনা আসবেই। তিনি না চাইলেও এই তুলনার প্রসঙ্গ অবশ্যম্ভাবী। তবে থিয়েটারে অভিনয়ের পর তিনি সব মহলেই প্রশংসা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। একের পর এক ফোন আসছে প্রশংসায় ভরা।
এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিশানি জানিয়েছেন, “এটা অসাধারণ অনুভূতি। বড় হতে হতে আমি সব সময় অভিনয় করতেই চেয়েছিলাম। কিন্তু কিংবদন্তী আল পাচিনো স্যারের সামনে পারফর্ম করার সুযোগ অকল্পনীয়। আমি থিয়েটার ভালবাসি। আর এই শুরুটা অসাধারণ হলো। আমি আশা করছি বাবাকে গর্বিত করতে পারবো। প্রতিদিন আমি আমার সেরা পারফরম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
দিশানি ২০১৭ সালে প্রথম অভিনয় জগতে ডেবিউ করেন। তার প্রথম ছবি ছিল ‘হোলি স্মোক’। যে ছবির পরিচালনা করেছিলেন তার দাদা উশমে চক্রবর্তী। এর পাশাপাশি তিনি অভিনয় করেছেন ‘আন্ডারপাস’ এবং ‘সুটেবল এশিয়ান ডেটিং উইথ পিএমবি’ নামের দুটি শর্ট ফিল্মে।
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, দিশানি মিঠুন চক্রবর্তীর নিজের মেয়ে নন। মিঠুন চক্রবর্তীর দিশানিকে দত্তক নিয়েছিলেন। শোনা যায়, একটি আবর্জনার স্তুপের মধ্যে পড়েছিলেন একরত্তি দিশানি। আবর্জনার স্তূপের সামনে এমন একরত্তি কন্যাসন্তানের পড়ে থাকার খবর শুনেই সেখানে ছুটে যান মিঠুন চক্রবর্তী। তারপর সেখান থেকে তুলে এনে তাকে দত্তক নেন এবং আজ এই দিশানি তার সাফল্যে গর্বিত করছেন বাবা মিঠুনকে।