দুবরাজপুরে নিলাম হল মিয়াজাকি আমের, কত টাকায় বিক্রি হল শুনলে চমকে যাবেন

Laltu Mukherjee

Published on:

Advertisements

লাল্টু : বিরল প্রজাতির এক আম, যে আম প্রথম ফলতে দেখা গিয়েছিল জাপানের কিউশু প্রদেশের মিয়াজাকি শহরে। যার পর থেকেই এই আমের নাম হয় মিয়াজাকি (Miyazaki Mango)। এই আমটি এতটাই মূল্যবান যে তার ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকায় কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। বিপুল এই দামের জন্য বিশ্বের সবথেকে দামি আমের খ্যাতি লাভ করেছে মিয়াজাকি। মিয়াজাকি আম জাপানে আবার তাইয়ো-নো-তামাগো নামে পরিচিত। কেউ কেউ আবার এই আমকে সূর্যের ডিম বলে থাকেন।

Advertisements

বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই আম এর আগে বীরভূমে কোথাও দেখা যায়নি, বীরভূমে তো দূরের কথা পশ্চিমবঙ্গেও এমন দামি আম কোথাও চাষ হয় বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। বিরল প্রজাতির হওয়ার কারণেই এই আম এত মহার্ঘ। এই আমের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বেটা-ক্যারোটিন ও ফলিক আ্যাসিড। যা চোখের ক্লান্তি দূর করে এবং দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে। এই বিরল প্রজাতির একটি আম গাছ হয় দুবরাজপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুরের বনকাটিপাড়ার গওসিয়া মসজিদে।

Advertisements

মসজিদ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, সৈয়দ নিজামুদ্দিন ওরফে সোনা নামে এক যুবক এই আম গাছ কোথাও থেকে এনে মসজিদের সামনে লাগিয়েছিলেন। ওই যুবক আম গাছ লাগানোর পর এক বছরের মধ্যে মারা যান। প্রথমদিকে এই আম গাছটির গুরুত্ব তারা বুঝতে পারেননি। পরে যখন আম গাছটি বড় হয় এবং আম ফলতে শুরু করে তখন তারা বুঝতে পারেন এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম গাছ মিয়াজাকি।

Advertisements

এই বছর এই আম গাছে ৮ থেকে ১০ টি আম ফলে এবং সেই আমের মধ্যে একটি আম শুক্রবার গাছ থেকে পাড়া হয়। যেটি শুক্রবারের জুম্মার নামাজের পর নিলামে চড়ানো হয়। নিলামে ওই মহার্ঘ্য আমটি কিনে নেন মির্জা ইজাজ বেগ ওরফে পপিন নামে এক যুবক। নিলামে এই আমটির সর্বোচ্চ দাম উঠে ১০,৬০০ টাকা।

আমটি কেনার পর মির্জা ইজাজ বেগ জানিয়েছেন, তিনি এই আম কেনার জন্যই এসেছিলেন। যত টাকায় দাম হোক তিনি আমটি কিনে বাড়ি নিয়ে যাবেন এমন প্রস্তুতি নিয়েই মসজিদে নামাজ পড়তে এসেছিলেন। আমটি তিনি ১০৬০০ টাকায় কেনেন। এত টাকায় আমটি কেনার পর তিনি কি করবেন? এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, আম খাওয়ার পর সেই আমের আঁটি থেকে চারা গাছ তৈরি করবেন তিনি।

Advertisements