সংকটের মাঝেই স্বস্তি, করোনামুক্ত ভারতের আরও একটি রাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে দিনের পর দিন উদ্বেগ বাড়িয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। রবিবারের শেষ রিপোর্টে করোনা সংক্রমণ দেশে পৌঁছে গেছে ৬২৯৩৯ এ। তবে এই সংকটের মাঝেই স্বস্তির খবর এটাই যে ভারতের আরও একটি রাজ্য করোনামুক্ত হলো।

রাজ্যের একমাত্র করোনা রোগীর রিপোর্ট নেগেটিভ আসায়, পাশাপাশি রাজ্যে নতুন করে আর করোনা সংক্রমণের খবর না থাকায় মিজোরামকে করোনামুক্ত ঘোষণা করলো সেখানকার রাজ্য সরকার। উত্তর-পূর্ব ভারতের চার রাজ্য সিকিম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচল প্রদেশের মতোই এবার করোনামুক্ত রাজ্যের খাতায় নাম লেখানো মিজোরাম। এর আগে দেশে প্রথম করোনামুক্ত রাজ্য হিসাবে নজির গড়েছিল গোয়া। অন্যদিকে ত্রিপুরা করোনামুক্ত হওয়ার পরেও রাজ্যের পরিস্থিতি বদলে যায়।সেখানে প্রথম দুজন করোনা রোগী করোনামুক্ত হওয়ার পর আবার নতুন করে রাজ্যে সংক্রমণ ছড়ায়। আর বর্তমানে সেই রাজ্যের সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪ এ।

মিজোরামের একমাত্র করোনা রোগী সেখানকার একটি চার্চে কর্মরত ছিলেন। গত মার্চ মাসের ১৬ তারিখ আমস্টারডাম থেকে ফেরার পর আসতে আসতে তার শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়। ২৪ শে মার্চ তাকে জোরাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি তার স্ত্রী ও মেয়েকে রাখা হয় কোয়ারেন্টাইনে। পরীক্ষার পর ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তবে তার স্ত্রী ও মেয়ের শরীরে কোনো রকম করোনা সংক্রমণ দেখা যায়নি। যে কারণে ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও মেয়েকে চার দিন পরেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে মিজোরামে একমাত্র ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়লেও ওই ব্যক্তির চিকিৎসা চালাতে বেগ পেতে হয় চিকিৎসকদের। ৪৫ দিন ধরে চিকিৎসা চলে ওই ব্যক্তির। ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দেন আর তারপর শনিবার তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান মিজোরামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আর লালথাঙ্গলিয়ানা।

এরপরই মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী পু জোরামথাঙ্গা রাজ্যকে করোনামুক্ত ঘোষণা করে জানান, “মিজোরাম এমন একটি রাজ্য যেখানে নিয়ম-শৃঙ্খলা অমান্য করা হয় না। রাজ্যের সবকটি চার্চ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সরকারি আধিকারিকরা সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যবাসীদের ভূমিকাও প্রশংসনীয়। রাজ্যে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান পেতেই সংক্রমণ ঠেকাতে প্রটোকল তৈরি করা হয়। লকডাউনের বিধি নিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলেছিলেন মিজোরামের বাসিন্দারা। যে কারণেই সংক্রমণ ছড়াতে পারেনি।”