১লা এপ্রিল থেকে বাড়ছে মোবাইল সহ একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্তমান সময়ে মানুষ অনেক বেশি মোবাইল নির্ভর। বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকজন মানুষ আছেন যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার হাতেই এখন মোবাইল মাস্ট। আর এই মোবাইল ফোনের বিক্রি দেখে কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোবাইল ফোনের জিএসটি বাড়াবে। আগে যেখানে ফোন কিনলে ১২ শতাংশ জিএসটি দিতে হতো এখন সেখানে ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। অর্থাৎ আগে যেখানে ১০০০০ টাকার ফোনে ১২০০ টাকা জিএসটি দিতে হতো, এখন সেখানে ১৮০০ টাকা জিএসটি দিতে হবে।

দিল্লীতে শনিবার ৩৯তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে মোবাইল ফোনের জিএসটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ছাড়াও অন‌্য রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর সীতারমন বলেন, “বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মোবাইল হ‌্যান্ডসেটের উপর জিএসটির হার বৃদ্ধি করা হবে। যে সকল মোবাইলের ক্ষেত্রে এতদিন ১২ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য হত, সেগুলির ক্ষেত্রে এখন থেকে ১৮ শতাংশ জিএসটি বসবে।”

করোনা ভাইরাসের জেরে চিন থেকে মোবাইল ফোন তৈরির কাঁচামাল আমদানি বন্ধ। এর মধ্যে জিএসটি বাড়ায় সমস্যা হবে বলে মনে করছেন ফোন নির্মাতারা। তাঁরা কাঁচামালের উপর থেকে কর কমানোর দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দাবি মানে নি জিএসটি কাউন্সিল। এর ফলে জুন মাসে শেষ হতে চলা ত্রৈমাসিকে মোবাইল ফোন বিক্রি ৮ থেকে ১৫ শতাংশ কমতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

২ কোটি টাকার কম লেনদেনে আর্থিক বছর ২০১৮, ২০১৯-এ দেরিতে বার্ষিক আয়কর দাখিল করার ক্ষেত্রে জরিমানাও মুকুব করা হয়েছে। এদিকে শনিবার দেশের বাজারে বেড়েছে পেট্রোপণ্যের দাম। কেন্দ্র স্পেশ‌্যাল এক্সাইজ ডিউটি বাড়ানোর কথা ঘোষণার ফলে দিল্লিতে পেট্রোল ও ডিজেলে লিটারে ৩ টাকা করে দাম বেড়েছে।

এ ছাড়াও বাড়তে চলেছে দেশলাইয়ের দামও। ১লা এপ্রিল থেকে দেশলাইয়ের উপর ১২ শতাংশ হারে পণ্য পরিষেবা কর ধার্য করা হবে। বর্তমানে হাতে তৈরি দেশলাইয়ের উপর ৫ শতাংশ ও মেশিনে তৈরি দেশলাইয়ের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়। সেই হারেরই পরিবর্তন করে সমস্ত রকম দেশলাইয়ের উপর ১২ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে এও স্থির হয়েছে বিমানের মেনটেনেন্স, মেরামতি ও ওভারহলের পরিষেবার উপর ১৮ শতাংশ হারের পরিবর্তে ৫ শতাংশ হারে জিএসটি ধার্য করা হবে।