Mobile toilet for Ladies launched in Kolkata: কলকাতা এমনিতেই জনবহুল অঞ্চল। সেই সঙ্গে প্রতিদিন বহু মানুষ আসেন কলকাতায় কাজের উদ্দেশ্যে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন হয় শৌচালয়ের। তবে শহর কলকাতায় যে পরিমাণ মানুষের আনাগোনা সেদিক থেকে শৌচালয়ের সংখ্যা যথেষ্ট কম। এই কারণে বিশেষত মহিলারা যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হন। তবে এবার মহিলাদের সেই সমস্যা মেটাতে কলকাতা পুরসভা চালু করলো ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় (Mobile Ladies Toilet)। যা শুধুমাত্র ব্যবহার করতে পারবেন মহিলারা।
কলকাতার বিশেষ কয়েকটি অধিক জনবহুল এলাকা যেমন নিউ মার্কেট, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট সহ আরো যে সব জায়গায় অনেক বেশি জনসমাগম লক্ষ্য করা যায় সেই সব জায়গায় ঘুরবে এই ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় (Mobile Ladies Toilet)। জানা গেছে গত মঙ্গলবার প্রথম একটি শৌচালয় পথে নামানো হয়েছে। পুরসভার তরফ থেকে পরে এই ধরনের শৌচালয়ের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
কলকাতার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মহিলারা প্রতিদিন কাজের সূত্রে বা আরো নানা কারণে কলকাতাতে আসেন। তাই দীর্ঘ দিন ধরেই মহিলাদের দিক থেকে এই ধরনের দাবি শোনা যাচ্ছিল। ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানেও শহর কলকাতার বুকে শৌচালয় বৃদ্ধির কথা বলা হয় বারবার। মাস তিনেক আগে বেহালার শ্রীতমা চৌধুরী ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে বলেন “শহরের রাস্তায় এমনিতেই শৌচালয়ের সংখ্যা কম। যার ফলে পুজো বা বড়দিনের মতো উৎসবের সময়ে রাস্তায় বেরিয়ে ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয়।”
আরও পড়ুন ? Kolkata to North Bengal: কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ, পথ কমবে ২১ কিমি, বড় উপহার রেলের
শুধু তিনিই বলেছেন তা নয়, কাঁকুরগাছির কলেজ ছাত্রী প্রীতি দত্তও এ বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ‘টক টু মেয়র’।এ ফোন করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেন “এটা ঠিক যে শহরের রাস্তায় নতুন করে শৌচালয় তৈরির মতো জায়গা নেই। তাই বিদেশের মতো ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় (Mobile Ladies Toilet) চালু করা হোক।” মহিলাদের দিক থেকে বারবার করা এই দাবীতে অবশেষে ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পুরসভার।
মেয়র পারিষদ এর সদস্য স্বপন সমাদ্দার বলেন “দীর্ঘদিন থেকেই মহিলাদের অনেকে ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় চালুর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সেই দাবিকে সম্মান জানিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ শৌচালয় চালু হয়েছে। মাসখানেকের মধ্যে আরও ৫টি চালু হবে।” অন্যদিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সোমলতা চৌধুরী বলেছেন “কলকাতার মতো শহরে অনেক দিন আগেই এই ধরনের উদ্যোগ জরুরি ছিল। তবে চালু করলেই হবে না, উপযুক্ত রক্ষণাবেক্ষণেরও প্রয়োজন”।