নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০১৯ সালে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় দ্বিতীয়বার কেন্দ্র দখল করার পর মোদি সরকার এই প্রথম তার মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করলো। বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে মোট ৪৩ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শপথ নিলেন। এদের মধ্যে ৭ জন আগে প্রতিমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এই ৭ জনের পদোন্নতি হয়েছে। বাকিরা প্রত্যেকেই নতুন মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন। অন্যদিকে পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন নতুন ৮ জন।
বুধবার রাষ্ট্রপতি ভবনে যে ৪৩ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪ জন মন্ত্রী রয়েছেন। এই চারজন হলেন নিশীথ প্রামানিক, ডাঃ সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর এবং জন বার্লা। একসাথে পশ্চিমবঙ্গ থেকে চারজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন, যা নজিরবিহীন। পাশাপাশি এরা প্রত্যেকেই নতুন মুখ এবং প্রত্যেকের কপালেই প্রতিমন্ত্রীত্ব জুটেছে।
অন্যদিকে নতুন এই ৪ মুখ পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেও পুরাতন দুজনকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। ইস্তফা দিতে হয়েছে বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে। তবে শুধু বাবুল সুপ্রিয় অথবা দেবশ্রী চৌধুরী নন, দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে দেশের ১২ জন হেভিওয়েট বিজেপি নেতাকে তাদের মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। এই ১২ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ডঃ হর্ষ বর্ধন, রবি শংকর প্রসাদ, রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক, প্রকাশ জাভেদকার।
মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে উঠে আসা নতুন মুখ হিসাবে নিশীথ প্রামানিক পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীত্ব। পাশাপাশি তিনি পেয়েছেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীত্ব। অর্থাৎ একসাথে তিনি দুটি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন।
ডাঃ সুভাষ সরকার কেন্দ্রীয় শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। জন বার্লা পেয়েছেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। শান্তনু ঠাকুরকে দেওয়া হয়েছে জাহাজ চলাচল এবং জলপথ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।