নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তেই মার্চ মাসের ২৪ তারিখ থেকে জারি হয় লকডাউন। আর এই লকডাউন শুরু হতেই স্তব্ধ হয়ে পড়ে গোটা দেশ। অজস্র মানুষ আটকে পড়েন এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে চিকিৎসা করাতে গিয়ে, এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে, ভ্রমণ করতে গিয়ে, আর পড়ুয়ারা আটকে পড়ে ভিন রাজ্যে পড়াশোনা করতে গিয়ে। তবে এসকল সব শ্রেণীর মানুষদের মধ্যে সবথেকে বেশি অসহায় যদি কেউ বা কারা হয়ে পড়েন তাঁরা হলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। কারণ তাদের প্রতিদিনের কাজের উপর নির্ভর রোজগার, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি।
আর লকডাউন জারি হতেই তারা সকলেই কাজ হারিয়ে নিরূপায় অবস্থায় একে অন্যের কাছে হাত পেতে কখনো আধপেটা, কখনো আবার না খেয়ে দিন চালাতে থাকেন। আর এবার এই সকল মানুষদের কথা ভেবে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া সকলকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দিল মোদি সরকার।
বুধবার কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেয়, লকডাউন চললেও পরিযায়ী শ্রমিক, ভিন রাজ্যে ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে আটকে পড়া মানুষেরা, ভিন রাজ্যে আটকে পড়া পড়ুয়ারা আন্তঃরাজ্য যাতায়াত করতে পারবেন। যাতায়াত করতে পারবেন বলতে তাদের বাড়ি ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে। তবে এই আন্তঃরাজ্য যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিশেষ কতগুলি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে যারা যাতায়াত করবেন তাদের জন্য।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেওয়া নির্দেশিকা
১) নির্দেশিকা অনুযায়ী বলা হয়েছে প্রত্যেক রাজ্য থেকে কাউকে পাঠানো অথবা ফেরত আনার ক্ষেত্রে দুই রাজ্যের আধিকারিকদের থেকে অনুমতি লাগবে। অর্থাৎ মেনে চলতে হবে প্রটোকল।
২) একসাথে অনেকের যাওয়া আসার ক্ষেত্রে সরকারি অনুমোদন নিয়েই যাতায়াত করা যাবে।
৩) যাওয়া আসার আগে স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে স্বাস্থ্যবিধির ছাড়পত্র পেতে হবে।
৪) বাসের মাধ্যমে যাতায়াত করা যেতে পারে তবে যাতায়াত করার আগে বাস স্যানিটাইজকরতে হবে এবং বাসের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৫) এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছানোর পর স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে হোম কোয়ারেন্টাইনের বিধি নিষেধ।
৬) প্রত্যেক যাতায়াতকারী ব্যক্তিকে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ইন্সটল করে রাখতে হবে তাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য।
