নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপি নেতা মনিরুল ইসলাম লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন এই জল্পনা গতকাল থেকেই চলছিল। আর সেই জল্পনার অবসান ঘটলো শনিবার। বোলপুর মহকুমা দপ্তরে এসে এদিন তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিলেন।
তবে তিনি বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেননি। কারণ লাভপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির তরফ থেকে আগেই বিশ্বজিৎ মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। সেই জায়গায় তিনি অর্থাৎ মনিরুল ইসলাম এদিন নির্দল প্রার্থী হিসেবে জমা দিলেন নিজের মনোনয়নপত্র।
তবে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও মনিরুল ইসলামকে ঘোষণা করতে দেখা গেল, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। আর তার এই ঘোষণার পর জল্পনা আরও বাড়ছে বৈ কমছে না। মনিরুল ইসলামের কথায়, “মানুষের জন্য কতটা কাজ করেছি নির্দল প্রার্থী হয়ে দেখতে চাইছি। কাটমানি থেকে সব কিছু মানুষ আর চাইছে না তাদেরকে।”
বিজেপি প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম জানান, “জয়েন করেই আছি। এখনো কি ছেড়েছে নাকি! বা ছেড়েছে নাকি! বিজেপির কাছে আমি টিকিটের জন্য আবেদনই করি নাই। যদি কেউ দেখাতে পারেন বিজেপির কাছে টিকিটের জন্য আবেদন করেছি তাকে এক কোটি টাকা দেবো। লক্ষ্য হল লাভপুরে যে দুর্নীতি হয়েছে তা ঠেকানো এবং আদিবাসীদের যেসকল জমির লুট হয়েছে সেগুলিকে ফিরিয়ে দেওয়া। যারা কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে তাদের মুখোশ খুলে দেওয়া।” অন্যদিকে তৃণমূলের প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, ‘ওদের কোন কথার উত্তর দেবো না।’ ‘খেলা হবে’ প্রসঙ্গে তার জবাব, ‘ভোটে খেলা হয় না, লড়াই হয়।’
প্রসঙ্গত, মনিরুল ইসলাম এর আগে একাধিকবার লাভপুরের বিধায়ক ছিলেন। প্রথম দিকে তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক করতেন এবং পরে তৃণমূল সরকারে এলে তৃণমূলে যোগ দেন। তবে তৃণমূলের সাথে তার সম্পর্ক একসময় হঠাৎ তলানীতে ঠেকলে ২০১৯ সালে তিনি সদলবলে বিজেপিতে যোগ দেন দিল্লির সদর দপ্তরে। এরপর বেশকিছুদিন অন্তরালে থাকার পর হঠাৎ একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তার পুনরায় আবির্ভাব হয় লাভপুরে।
অন্যদিকে মনিরুল ইসলামের নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কটাক্ষ করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য, “ওতো বিজেপিতে অনেকদিন জয়েন করেছে। তারপর টিকিট দেয় নাই, নিশ্চয়ই তারা কিছু বুঝেছে। আবার সংখ্যালঘু ভোটের দিকে তাকিয়ে বিজেপির চাল হতে পারে বলেও মনে করছেন অনুব্রত মণ্ডল।