ভবিষ্যতে স্মার্ট সিটি নিউটাউনে চলবে মনোরেল (Monorail in Kolkata)। নিউটাউন তথা পশ্চিমবঙ্গের জন্য এই এক গর্বের বিষয়। জানা গেছে যে HIDCO-র উদ্যোগে হবে এই মনোরেল। মূলত, নিউটাউনে যানজটের সমস্যা মেটাতে মনোরেল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে সরকার। হিডকোর এই উদ্যোগ সত্যিই অপরিকল্পনীয়। ব্যস্ত সময় টুইট সিটি রাজারহাট-নিউটাউনে ট্রাফিকের চাপ কিছুটা কমাতে এই অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে হিডকো।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, স্মার্ট সিটি নিউটাউনে এবার গড়ে উঠবে লাইট রেল ট্রানসিট সিস্টেম। সত্যি এটি আক্ষরিক অর্থে অনেকটা মনোরেলের (Monorail in Kolkata) মতোই। হিডকো প্রস্তাব দিয়েছে যে, নিউটাউন অ্যাকশন এরিয়া-৩ থেকে বিশ্ব বাংলা গেট ক্রসিং পর্যন্ত এই মনোরেল চলবে। কলকাতার বুকে এ এক অত্যাধুনিক এবং অভিনব যোগাযোগের মাধ্যম।
আরো জানা যাচ্ছে যে, স্মার্ট সিটির এই মনোরেল যুক্ত হতে পারে কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইন অর্থাৎ ইস্ট-ওয়েস্টের সল্টলেক রুটের সঙ্গেও। অ্যাকশন এরিয়া-১ এবং অ্যাকশন এরিয়া-২ এর উপর দিয়ে এই মনোরেল যেতে পারে। এই মনোরেলের লাইন যাবে সল্টলেক মেট্রো পর্যন্ত। কলকাতাবাসী হিডকোর এই উদ্যোগে খুব খুশি। স্মার্ট সিটিতে এর আগেই অনেক রকম অভিনব প্রজেক্ট চলছে। কলকাতার টুইন সিটির রাস্তায় চলে ইলেকট্রিক বাস, গাড়ি, সাইকেল, এছাড়া রয়েছে আধুনিক আন্ডারপাস। রাস্তাতেই রয়েছে স্মার্ট জিম। তাহলে এবার মনোরেল চালু হলে সেই তালিকায় নবতম সংযোজন হবে।
তবে স্মার্ট সিটির এই মনোরেলের (Monorail in Kolkata) ভাবনাকে ইলাস্ট্রেশন প্রকাশ করেছে হিডকো। আগামীদিনে কেমন দেখতে হবে নিউটাউনের এই মনোরেল? জানা গিয়েছে যে, নিউটাউনে মনোরেল তৈরির প্রস্তাব নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন পেশ করেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। তা ভালোভাবে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর। স্মার্ট সিটিতে চলাচলের সুবিধার জন্য এর আগে রোপওয়ে তৈরির প্রস্তাবনাও পেশ করা হয়েছিল। অ্যাকশন এরিয়া-৩-এ একাধিক আইটি সংস্থার অফিস রয়েছে। বিশেষ করে সেখানকার চাকরিপ্রার্থীদের সুবিধার জন্য এই প্রস্তাবনা পেশ করা হয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গে ২০০৭-২০০৮ সালে বাম আমলে প্রথম কলকাতা মনোরেল (Monorail in Kolkata) তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল বজবজ থেকে রাজারহাট পর্যন্ত এই রেল চালু হবে কিন্তু তা পরবর্তীকালে বাস্তবায়িত হয়নি। পরবর্তীকালে তৃণমূল সরকারের আমলেও ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও বার্ন স্ট্যান্ডা কলকাতা মনোরেল তৈরির জন্য উদ্যোগ নেয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ডায়মন্ড হারবার রোড পথে বেহালাতেও রোপওয়ে চালু হওয়ার প্রস্তাব এসেছিল।