নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণবঙ্গবাসীদের মধ্যে এখন একটাই প্রশ্ন আর সেই প্রশ্ন হল বর্ষা (Monsoon South Bengal) কবে আসবে? বারবার এই প্রশ্ন করা হলেও উত্তর আর মিলছে না। আজকাল করে করে জুন মাসের ১৮ তারিখ কেটে গেল। কিন্তু বর্ষা তো দূরের কথা দক্ষিণবঙ্গের বহু জেলাতেই প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হল না। অন্ততপক্ষে বুধবার পর্যন্ত আবহাওয়ার যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তাতে এমনটাই বলা যায়।
জ্বালাপোড়া গরমে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দাদের যখন নাজেহাল অবস্থা সেই সময় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় এতটাই বৃষ্টি যে সেখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে প্রতিদিনই ভাসিয়ে দেওয়ার মতো বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গ থেকে আর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দক্ষিণবঙ্গের দিকে এগোচ্ছে না।
যদি দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর আগমনের দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে, অন্যান্য বছরের থেকে অনেক আগে এই বছর ভারতের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে বর্ষা। শুধু কেরল নয়, পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতের অনেক রাজ্যেও একই সঙ্গে বর্ষা ঢুকেছে। আবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গে গত ৩১ মে বর্ষার আগমন হয়ে গিয়েছে। এরপর ১৯টা দিন কেটে গেলেও কিন্তু বর্ষার আগমন হলো না দক্ষিণবঙ্গে।
বরং হাওয়া অফিসের তরফ থেকে যে আপডেট পাওয়া যাচ্ছে তা থেকে প্রতিদিনই যেন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমন পিছিয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে জানানো হয়েছিল, মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে যাবে। কিন্তু মঙ্গলবার আবহাওয়ার যে আপডেট দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হচ্ছে, তিন থেকে চার দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অফিসের নতুন আপডেট অনুযায়ী কিন্তু ফের বর্ষার আগমনের দিন পিছিয়ে গেল।
তবে এর মধ্যেই হাওয়া অফিসের তরফ থেকে কিছুটা হলেও তাপমাত্রার পারদ কমার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মূলত দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার ফলে তাপমাত্রার পারদ কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গে ধীরে ধীরে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে আপাতত আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। এছাড়াও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও তা ধীরে ধীরে আগামী কয়েক দিনে ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি কমবে।