নিজস্ব প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় রেমালের বিদায়ের পর দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা বেলায়। কেননা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা বেলা থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পাশাপাশি আরও একটি সুখবর মিলেছে বর্ষার আগমন (Monsoon Update West Bengal) নিয়ে।
চলতি বছর যেমন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলা তীব্র তাপপ্রবাহ পুড়েছে, ঠিক সেই রকমই আবার বড় সুখবর দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টাতেই কেরলে ঢুকে গিয়েছে বর্ষা। শুধু কেরল নয়, কেরলের পাশাপাশি বর্ষা ঢুকেছে একইসঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশকিছু রাজ্যে। অন্ততপক্ষে ৭ বছর পর এমনটা হল। এর আগে ২০১৭ সালে কেরল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে একসঙ্গে বর্ষার আগমন হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার থেকে বাংলার জেলায় জেলায় যে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সূচনা হয়েছে তা অবশ্য বাংলায় বর্ষার আগমনের কারণে নয়। এমনটা শুরু হয়েছে মূলত ঘূর্ণিঝড় রিমালের ছেড়ে যাওয়া জলীয়বাষ্প, উত্তরপ্রদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত থেকে পশ্চিম বাংলাদেশ পর্যন্ত ঘূর্ণাবর্তের অবস্থান এবং দেশের মূল ভূখণ্ডে বর্ষার আগমন। আর এসবের কারণেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর থেকে দক্ষিণে দফায় দফায় বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন ? Free Dish Connection: টাকা দিয়ে টিভি দেখার দিন শেষ! এবার এইভাবে ফ্রিতে পেয়ে যান FREE DISH কানেকশন
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে তাতে আগামী দিন কয়েক বঙ্গবাসীদের ছাতা, রেইনকোট সঙ্গে নিয়েই বের হতে হবে। কেননা হওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই বৃষ্টি আগামী ৪ জুন পর্যন্ত চলবে। যদিও টানা বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, বরং বৃষ্টি হবে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক দফায়। এছাড়াও দমকা হাওয়া বইবে বলেও জানানো হয়েছে। দমকা হওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার।
নির্ধারিত দিনের থেকে দুদিন আগেই ভারতের মূল ভূখণ্ডে কেরলের মধ্য দিয়ে বর্ষার আগমন হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে হিসেব অনুযায়ী উত্তর-পূর্ব ভারতের জেলাগুলিতে অন্ততপক্ষে ৭ দিন আগে বর্ষার আগমন হয়েছে। এছাড়াও এখন পশ্চিমবঙ্গে যে পরিস্থিতি রয়েছে তাতে আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে যেতে পারে। আর উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রবেশের মধ্য দিয়েই বঙ্গে নতুন মরশুমের সূচনা হয়ে যাবে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে ৭ জুনের মধ্যে বর্ষা ঢুকে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে, অন্যান্য বছর ১০ জুন বা তার থেকেও বেশি দেরি হয় দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার আগমনের ক্ষেত্রে।