নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে শ্রমবিধির ক্ষেত্রে একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে। আর এই শ্রমবিধি খুব শীঘ্র লাগু করা হবে বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও কবে থেকে তা লাগু হবে তা এখনও কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে পরিষ্কার করে কিছু জানানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে আগামী অর্থবছর থেকেই এই নয়া শ্রমবিধি চালু করা হতে পারে।
নয়া শ্রমবিধি অনুযায়ী কাজের সময় থেকে ওভারটাইমের ক্ষেত্রে একাধিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন এই সংবিধান অনুসারে কর্মীরা সপ্তাহে চারদিন কাজ করে তিনদিন ছুটি পেতে পারেন। এর পাশাপাশি নির্দিষ্ট কাজের সময় থেকে ১৫ মিনিট বেশি কাজ করলেই তা ওভারটাইম হিসাবে গণ্য হবে এবং সংস্থাকে ওভারটাইম নিয়ম অনুযায়ী কর্মীদের পেমেন্ট করতে হবে। এর পাশাপাশি এই শ্রমবিধি অনুযায়ী কর্মীদের হাতে পাওয়া বেতনের ক্ষেত্রেও একাধিক পরিবর্তন হতে পারে।
নতুন শ্রমবিধি কার্যকর হলে মাসিক প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটির পরিমাণে হেরফের হতে পারে। কারণ নতুন শ্রমবিধি বলছে, কোন কর্মচারীর সর্বমোট বেতনের ৫০ শতাংশ হতে হবে তার বেসিক বেতন। অর্থাৎ নতুন এই আইন অনুযায়ী কোনো কর্মীর মাসিক ভাতা কখনোই ৫০ শতাংশের বেশি হবে না। ৫০ শতাংশ বেসিক বেতন থাকার পাশাপাশি বাকি ৫০% বেতনের মধ্যেই থাকতে হবে TA, হাউস রেন্ট, ওভার টাইম সহ যাবতীয় ভাতা।
[aaroporuntag]
আর এই নতুন শ্রমবিধি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে সামাজিক সুরক্ষার খাতে দেওয়া অর্থের পরিমাণ বাড়বে। তাতে ভবিষ্যতের জন্য সুবিধা হবে, কিন্তু হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ কমে যাবে। কারণ সংস্থাগুলি বেসিক স্যালারি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্র্যাচুইটির মধ্য দিয়ে বাড়তি ব্যয় বহন করার পথ বেছে নিতে পারে। যদিও হাতে পাওয়া বেতনের পরিমাণ কমবে, নাকি বাড়বে তার সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট ভাবে কিছু জানায় নি কেন্দ্র।