নিজস্ব প্রতিবেদন : গুজরাটে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। যেন কয়েক মিনিটেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গুজরাট। সেখানকার মোরবি জেলার মাচ্ছু নদীতে ঝুলন্ত কেবল ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় এই বিপর্যয়। বর্তমানে শেষ খবর পাওয়া থেকে জানা যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই দুর্ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ঘটনার আগের এবং পরের মুহূর্তের ভিডিও ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। সেই সকল ভিডিও দেখলে যে কেউ শিউরে উঠবেন। প্রাণ বাঁচানোর জন্য মানুষ কিভাবে হাতের সামনে পাওয়া জিনিসপত্র আঁকড়ে ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তা দেখে আরও ভারাক্রান্ত হয়েছে অন্যান্যদের।
এই দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গুজরাতের তথ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সেনা, নৌসেনা, বিমানবাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল বাহিনী তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৯ জন। রবিবার সন্ধ্যা ৬:৩০ টা নাগাদ এই ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার পর আধ ঘন্টার মধ্যেই উদ্ধারকার্যে সমস্ত রকম জোড় দেওয়া হয়।
তবে প্রশ্ন হল কিভাবে এই ঝুলন্ত ব্রিজ ভেঙে পড়ল? এর পরিপ্রেক্ষিতে জানা গিয়েছে, ব্রিজটিতে যতসংখ্যক মানুষের ধারণক্ষমতা রয়েছে তার থেকে অনেক বেশি মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সংস্থা রাইটার্সের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে সেখানে অন্তত পক্ষে ৪০০ জন উপস্থিত হয়েছিলেন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সেই ব্রিজ ভেঙে পড়ে।
Log bridge ko jankar jor se hila rahe the. Over crowded kiye the.#morbibridge #Morbi #Gujrat #bridgecollapse pic.twitter.com/tOMBLxzrE4
— Haanjee (@STD_booth) October 30, 2022
A Cable bridge collapsed in Machchu river in #Morbi, Gujarat. Rescue operation is underway. The bridge was renovated and opened to public only 5 days ago. #Gujrat pic.twitter.com/knLc2NQqfV
— TBS News™ (@TBSNews_) October 30, 2022
তবে এই ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আহমেদাবাদের বাসিন্দা বিজয় গোস্বামী জানিয়েছেন, “ব্রিজের উপর খুব ভিড় ছিল। আমি ও আমার পরিবার ব্রিজের উপরই ছিলাম। সেই সময় কিছু অল্প বয়সী ছেলেরা ইচ্ছাকৃতভাবে ব্রিজটি নাড়াতে থাকে। কোনও ঠেস ছাড়া সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অসাধ্য ছিল। আমার মনে হচ্ছিল এটি বিপজ্জনক হতে পারে, তাই ব্রিজের কিছুটা গিয়েই সেখান থেকে আমি পরিবার নিয়ে ফিরে আসি।” এছাড়াও তিনি দাবি করেছেন, এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মীদের তিনি সতর্ক করেছিলেন তবে কর্মীরা ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার কোন উপায় নেই বলে জানিয়েছিলেন।