নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর আরও ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসতে পারে দেশের উপর, এমনটাই জানানো হলো ইন্ডিয়া মেট্রোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (IMD) এর তরফ। IMD প্রধান এম মহাপাত্র জানিয়েছেন, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে আরও ঘূর্ণিঝড়ের দেখা মিলতে পারে। এর পাশাপাশি তিনি এটাও জানিয়েছেন যে, চলতি বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় শীতের প্রকোপ অনেকটাই বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চলতি বছর এত সংখ্যক ঘূর্ণিঝড় এবং শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি হওয়ার মূলে রয়েছে লা নিনা পরিস্থিতি। আর এই পরিস্থিতির জেরে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগর উপকূলে হানা দিতে পারে ঘূর্ণিঝড়। লা নিনার মাধ্যমে আভাস পাওয়া যায় ভারী বৃষ্টিপাতের। পাশাপাশি এর উপরেই নির্ভর করে আগাম বৃষ্টির খবর।
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় সমুদ্রের উপরিভাগের জলের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে। আর এই তাপমাত্রা নামার প্রভাব পড়বে বায়ুমণ্ডলের উপর। বায়ুমণ্ডলের ওপর প্রভাব পড়ার পাশাপাশি এর প্রভাব ভারত ভূখণ্ড লক্ষ্য করা যাবে। ভারত ভূখণ্ড প্রভাব পড়বে ঘূর্ণিঝড়ের।
অন্যদিকে অক্টোবর মাসের মধ্য সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত দেশজুড়ে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী বায়ু। আর এই মৌসুমী বায়ু ফিরে যেতে এখনো বেশ কয়েকটা দিন সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে মৌসম ভবনের তরফ থেকে। এর পাশাপাশি বাংলাতে দূর্গা পূজার সময়ও ঝড়-বৃষ্টির একটা প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর করোনা প্রকোপের মাঝেই দেশে দু-দুটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে। প্রথমটি আম্ফান, যার প্রকোপে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয় পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার মত রাজ্য। আর এর কয়েক দিনের মধ্যেই আবার ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ আছড়ে পড়ে মুম্বাইয়ের উপর। এমনকি সম্প্রতি গভীর নিম্নচাপের কারণে অন্ধ্র উপকূল বিপুল পরিমাণে বৃষ্টির সম্মুখিন হয়। যার জেরেও বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন এই এলাকা।