নিজস্ব প্রতিবেদন : আমরা প্রতিদিনই কোন না কোন কাজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষেরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে গণপরিবহনের উপর নির্ভর থাকেন। আবার যদি গণপরিবহনের কথা বলা হয় তাহলে রেল পরিষেবার বিকল্প আর কিছু হয় না। যে কারণেই ভারতীয় রেল (Indian Railways) গণপরিবহনের লাইফলাইন হিসাবে সব সময় পরিগণিত হয়।
যেকোনো গণপরিবহনে যাতায়াত করার ক্ষেত্রে যেমন নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়া দিতে হয়, ঠিক সেই রকমই ট্রেনে ভ্রমণ করার ক্ষেত্রে আগাম টিকিট বুক করে রাখতে হয় যাত্রীদের। বৈধ টিকিট যাত্রীদের কাছে না থাকলে তাদের জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়। এক্ষেত্রে অনেকেই রয়েছেন যারা কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন দেখে টিকিট বুক না করেই ট্রেনে চড়ে যান অথবা টিকিট না পেয়ে তাদের ট্রেন মিস হয়। এরকম ঘটনাই লাগাম টানতে রেলের তরফ থেকে এবার সহজ এবং সস্তায় টিকিট দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হলো।
রেলের তরফ থেকে সস্তায় এবং সহজে টিকিট বুকিং করার যে পদ্ধতি চালু করা হয়েছে তা হলো আনরিজার্ভড টিকিটিং সিস্টেম (UTS)। এটি ব্যবস্থায় মূলত লোকাল ট্রেনের টিকিট বুকিং করা যায়। এছাড়াও মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনেরও অসংরক্ষিত টিকিট বুকিং করা যায়। যে অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করা যায় সেটি হল UTS অ্যাপ। বর্তমানে বহু যাত্রী রয়েছেন যারা এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং (UTS Ticket Booking) করে থাকেন। লাইনে না দাঁড়িয়ে অনলাইনে সহজেই টিকিট বুকিং হওয়ার পাশাপাশি এখন আবার রেলের তরফ থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করা হলে ছাড় (UTS Ticket Booking Offer) দেওয়া হচ্ছে। সুতরাং এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করলে যেমন কাউন্টারের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না, ঠিক সেই রকমই আবার সস্তায় টিকিট পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন ? Santragachhi to Digha Special Train: আরও সহজে যাওয়া যাবে দীঘা, আরও এক স্পেশাল ট্রেন দিল রেল
রেলের তরফ থেকে ইউটিএস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট বুকিং করার ক্ষেত্রে সোজাসুজি ৩ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন যাত্রীর যদি ট্রেনের টিকিটের দাম ১০ টাকা হয়ে থাকে তাহলে তিনি প্রতিটি টিকিটে ৩০ পয়সা করে ছাড় পাবেন। টিকিটের দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই ছাড়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। তবে এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুকিংয়ের সময় ছাড় পেতে হলে যাত্রীদের শুধু একটি বিষয় মনে রাখতে হবে।
ট্রেনের টিকিটের ওপর ৩ শতাংশ ছাড় পাওয়ার জন্য যাত্রীদের টিকিট বুকিং করার সময় R-Wallet থেকে টিকিটের দাম মেটাতে হবে। এর জন্য আগে থেকেই যাত্রীরা ওই ওয়ালেটে ব্যালেন্স লোড করে রেখে দিন। R-Wallet এর মাধ্যমে টিকিট বুকিং করার ক্ষেত্রে আরো একটি সুবিধা হল, খুব অল্প সময়ের মধ্যে পেমেন্ট করা সম্ভব।