Bankura Howrah new rail line: বাঁকুড়া-হাওড়ার দূরত্ব কমবে দু’ঘণ্টা, চালু হচ্ছে নতুন রেলপথ

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে ভারতের রেল পরিষেবায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার জন্য নতুন নতুন কাজ চালানো হচ্ছে। এই সব কাজের জন্য কোথাও নতুন রেললাইন, কোথাও আবার স্টেশনকে সাজানো, আবার কোথাও নতুন নতুন ট্রেন চালু করা ইত্যাদির কাজ চালানো হচ্ছে। ঠিক সেই রকমই এবার রেলের তরফ থেকে এমন এক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যার পরিপ্রেক্ষিতে বাঁকুড়া হাওড়ার দূরত্ব কমবে দু’ঘণ্টা।

বাঁকুড়া হাওড়ার মধ্যে দু’ঘণ্টা দূরত্ব কমলে স্বাভাবিকভাবেই বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা অনেক উপকৃত হবেন। তারা আরো কম সময়ে পৌঁছে যেতে পারবেন হাওড়া থেকে তিলোত্তমা সহ বিভিন্ন জায়গায়। আমার খুব সহজে নিজেদের এলাকায় ফিরে আসতেও পারবেন। বাঁকুড়া ও হাওড়ার মধ্যে এমন দূরত্ব কমানোর জন্য নতুন রেললাইন (Bankura Howrah new rail line) চালু করা হবে খুব তাড়াতাড়ি।

রেলের এই নতুন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে এবার হাওড়া থেকে বাঁকুড়া এবং বাঁকুড়া থেকে হাওড়া সরাসরি ট্রেন দু’ঘণ্টা কম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। মূলত বাঁকুড়া দামোদর রিভার রেলওয়ে, যেটি বাঁকুড়া থেকে মসাগ্রাম পর্যন্ত চলে, সেই রেললাইন এবার জুড়ে যাবে বর্ধমান হাওড়া কর্ড লাইনের সঙ্গে। রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই বাঁকুড়া মসাগ্রাম লাইনে বৈদ্যুতিকরণের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে কিছুদিন আগেই। এবার শুধু ওই লাইন জুড়ে দেওয়া।

আরও পড়ুন 👉 Ashtami Chatu: চিকেন, মটন অতীত! এখন লোকে খাচ্ছে এই ছাতু, জিভে জল আনার মত স্বাদ

বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, চলতি মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই মসাগ্রাম বর্ধমান হাওড়া কর্ড লাইনের সঙ্গে জুড়ে যাবে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব খুব তাড়াতাড়ি এই লাইনের উদ্বোধন করবেন। ইতিমধ্যেই মসাগ্রাম স্টেশনে স্লিপার পাতার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর রেল বোর্ডের অনুমতি মিললেই শুরু হয়ে যাবে ট্রেন চলাচল। যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, আপাতত তার কাছে কোন সূচি আসেনি যে কারণে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না।

তবে এই রেল পথ জুড়ে গেলে ট্রেন সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে ঠিক সেইরকমই ট্রেন সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ দামোদরের রায়না, খণ্ডঘোষ, মাধবডিহি, ইন্দাস, পাত্রসায়ের সহ বাঁকুড়ার অন্যান্য এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি বর্ধমানের বহু মানুষ উপকৃত হবেন। কেননা এই রেল পথ জুড়ে গেলে এই রেলপথ দিয়েই মেল, এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন ট্রেন অনেক কম সময়ে যাতায়াত করতে পারবে। যে কারণেই সবাই এখন মুখিয়ে রয়েছেন নতুন এই রেলপথের জন্য।