নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার রাজ্যে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে যায় ঘনঘন বজ্রপাতের কারণে। একই দিনে রাজ্যে বজ্রপাতে প্রাণ হারান ২৬ জন। সংখ্যায় যা রেকর্ড। আর এই ঘটনার পরেই মৌসম ভবনের তরফে ময়নাতদন্ত শুরু করা হয়। আর সেই ময়নাতদন্ত থেকেই জানা যায় সোমবার বাংলার আকাশে কত বাজ পড়েছে এবং এর পিছনে কি কারণ রয়েছে।
ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট অবজার্ভিং সিস্টেমস প্রোমোশন কাউন্সিলের পর্যবেক্ষণ থেকে উঠে আসা তথ্য থেকে জানা গিয়েছে গত সোমবার বাংলার আকাশে ৩৮ হাজার ৫৬৮টি বাজ পড়েছে। এই সংখ্যাটা হলো কেবলমাত্র মেঘ থেকে মাটিতে পড়ে আসা বাজের সংখ্যা। এছাড়াও আরও ২২ হাজার ৭৯৬ বাজ যা কেবল মেঘের মধ্যেই হয়েছে। অর্থাৎ ওই দিন সর্বসাকুল্যে বাংলার আকাশে মোট বাজ পড়ার সংখ্যা হল ৬১ হাজার ৩৬৪।
পাশাপাশি এই ময়নাতদন্ত থেকে জানা গিয়েছে, ঐদিন এই যে বিপুলসংখ্যক বাজ পড়েছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়েছিল ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪৯৪ অ্যাম্পিয়ারের। আমরা বাড়িতে যে মাইক্রোওভেন অথবা ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করে থাকি তার সুইচের অ্যাম্পিয়ার হলো মাত্র ১৬। সুতরাং স্পষ্ট বজ্রবিদ্যুৎ এর কারণে সৃষ্ট হওয়া বিদ্যুতের অ্যাম্পিয়ারের ক্ষমতা কতটা।
পাশাপাশি এই ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে ঐদিন এত পরিমাণ বজ্রপাতের কারণ। কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, সোমবার বাংলার আকাশে তৈরি হয়েছিল ১৬ কিলোমিটারের বেশী উচু বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ। আর এই কারনেই ঐদিন এমন ঘটনা ঘটে। সোমবার মেঘপুঞ্জ পশ্চিমাঞ্চল থেকে উপকূলের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় ধনুকের আকার নেয়। আর এই কারনেই মুর্শিদাবাদ থেকে উপকূল পর্যন্ত বৃস্তিত এলাকায় ঝড় বৃষ্টি হয় এবং মূলত রাজ্যের ৬টি জেলাতে বজ্রপাতের কারণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।