Lady Truck Driver: বিশ্বের সব থেকে সুন্দরী ট্রাক ড্রাইভার, যার রূপের ছটায় ঘায়েল গোটা নেট দুনিয়া

The most beautiful truck driver in the world, the whole net world is in awe of her looks: ১৮৯৬ সালে সর্বপ্রথম মোটরবাহী ট্রাক আবিষ্কৃত হয়। পণ্য পরিবহনের কাজে বহু যুগ ধরে ট্রাক পরিষেবা চলে আসছে। সময়ের সাথে সাথে বহু প্রযুক্তি নিয়োগ করা হয়েছে ট্রাক নির্মাণের ক্ষেত্রে, তবুও ভারী পণ্য বাহী এই ট্রাক চালানো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে মাইলকে মাইল ট্রাক চালিয়ে অন্য সুরক্ষিত অবস্থায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব থাকে ট্রাক ড্রাইভার। পরিবেশের প্রতিকূলতাই না ইঞ্জিনের গরমে তপ্ত হয়ে ওঠে চালকের বসার স্থানটি। সমস্ত প্রতিকূলতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে সম্প্রতি উঠে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার এক মহিলা ট্রাক (Lady Truck Driver) ড্রাইভার।

বিশ্বজুড়ে মহিলা ট্রাক ড্রাইভার (Lady Truck Driver) কোন বিরল পেশা নয় তবে অ্যাশলে কে সবথেকে সুন্দরী ট্রাক ড্রাইভারের আখ্যায় ভূষিত করেছেন নেটিজেনরা। পেশার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত রকম প্রতিকূলতাকে দূরে সরিয়ে রেখে কাজের প্রতি ভালোবাসা ই খুঁজে পান অ্যাশলে। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় দূর দুরান্তে ট্রাক নিয়ে পৌঁছে দেন পণ্য এই মহিলা ড্রাইভার।

তিনি সামাজিক মাধ্যমে ভীষণ সক্রিয়। তাই রূপের ছটা ছড়িয়ে পড়ে এই মাধ্যমে হাত ধরেই। ট্রাক চালানোর সময় সৌন্দর্যকে সঠিকভাবে বজায় রাখার কৌশল ও তার জানা। অ্যাশলের কাজের রুটিনটি সবথেকে বেশি আকর্ষণীয়। মাসের প্রথম চৌদ্দ দিন অস্ট্রেলিয়ার পিলবারাতে ডাম্প ট্রাক ড্রাইভার এর কাজ করেন তিনি। তার কর্মদিবসের দিন ভোর চারটের সময় উঠে গরমের দাবদাহের মধ্যে দিয়ে ড্রাইভিং করে টানা ১২ ঘন্টা। এই কঠোর পরিশ্রমের জন্য ভালো পারিশ্রমিক ও পান এই মহিলা ট্রাক ড্রাইভার (Lady Truck Driver)। এই ১৪ দিন পরিশ্রম করার বাকি ১৪ দিন ছুটিতে কাটান অ্যাশলে।

তার কর্ম দিবসে হিসাব করে দেখা দিয়েছে ৬ মাস কাজ করে তিনি উপার্জন করেন এক কোটি টাকা। ট্রাক ড্রাইভিং এর কঠোর কাজটি ছাড়া অ্যাশলের বাইরের জীবন যথেষ্ট রঙিন। মাঝেমধ্যেই তার রূপের আগুনে উষ্ণ হয়ে ওঠে সামাজিক মাধ্যম। ১৫ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার্স রয়েছে অ্যাশলের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে। তিনি মাঝে মধ্যেই তার যাত্রাপথে বিবরণ দিয়ে ফলোয়ার্সদের যোগাযোগ স্থাপন করে।

কঠিন পরিশ্রমের মধ্যেও ফুরফুরে আমেজে থাকার রহস্য উন্মোচন করেছেন অ্যাশলে তার এক বক্তব্যে যেখানে তিনি জানান প্রতি মাসের শুরুতে টু-অ্যান্ড-টু রোস্টারের মাধ্যমে কাজ ভাগ করে নেন তিনি। সে অনুযায়ী প্রতি মাসে প্রাপ্ত ১৪ দিনের ছুটি তিনি চুটিয়ে উপভোগ করে নেন। প্রতিটি মানুষের নিজের জন্য সময় রাখা উচিৎ। অ্যাশলের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট তার জীবন উপভোগ করার এক মাধ্যম। সৌন্দর্য ছাড়াও মহিলা ট্রাক ড্রাইভার (Lady Truck Driver) হিসাবে ইন্টারনেটে সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। তার জীবন উপভোগের আদর্শে বর্তমানে অনেকেই উৎসাহী। এমনকি অ্যাশলেকে বহু ফলোয়ার্স শুভেচ্ছা বার্তা জানান তার জীবনকে দেখার দৃষ্টি ভঙ্গির জন্য।