কোন জেলায় করোনা সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা বেশি জানিয়ে দিলো রাজ্য সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের জেলাগুলির প্রশাসনিক কর্তাদের সাথে শুক্রবার প্রশাসনিক বৈঠকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় উদ্বেগের কারণ হিসাবে ধরা পড়েছিল রেড জোনে থাকা জেলাগুলি। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। মুর্শিদাবাদের মানুষদের শারীরিক সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। আর শনিবার রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হলো করোনায় সব থেকে বেশি সংক্রামিত জেলা কোনটি, কোন জেলা এই ভাইরাসে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

শনিবার এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা সাংবাদিক বৈঠকে পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, এখনো পর্যন্ত রাজ্যের মধ্যে হাওড়া জেলায় সংক্রামিত রোগীদের সংখ্যা সব থেকে বেশি। এখানে সংক্রামিত রোগীদের সংখ্যা ৬২। হাওড়াতে মোট ৫৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে পরীক্ষার জন্য।

রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহার দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ সংক্রামিত ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে তার ২১ শতাংশের বেশি হাওড়া জেলা থেকেই। কারণ শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে রাজ্যে সংক্রামিত ব্যক্তিদের সংখ্যা জানানো হয়েছে তাতে জানা গিয়েছে সংখ্যাটা হলো ২৮৭। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও আইসিএমআর-এর পরামর্শ অনুযায়ী আগামী দিনে এই জেলাতে আরও বেশি পরীক্ষা করা হবে বলে জানান মুখ্য সচিব।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করা কালীন প্রশাসনকে হাওড়ায় চরম তৎপর হওয়ার বার্তা দেন। তিনি জানান, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে হাওড়াকে যে করেই হোক রোড থেকে অরেঞ্জ জোনে আনতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই শনিবার সকাল থেকে হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় তৎপর হতে দেখা যায় পুলিশকে। এমনকি বেশ কিছু জায়গায় সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়।পাশাপাশি যে সকল এলাকা সিল করা হয়েছে সেই সকল এলাকায় অত্যাবশ্যকীয় ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যোগান দিচ্ছে হাওড়া পৌরনিগম। জিনিসপত্র যোগানের জন্য তাদের তরফ থেকে একটি টোল ফ্রি নম্বর চালু করা হয়েছে।যে নম্বরে দিনে একবার জিনিসের অর্ডার দিলেই বিনা ডেলিভারি চার্জেই জিনিসপত্র পৌঁছে যাবে বাড়িতে। বাড়ি থেকে কাউকেই বের হতে দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে।