নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন কয়েক পরেই রয়েছে দীপান্বিতা অমাবস্যা। দীপান্বিতা এই অমাবস্যাই বিভিন্ন জায়গায় মানুষ কালি আরাধনায় মেতে উঠবেন। বিভিন্ন জায়গায় অজস্র কালীপুজো হলেও পশ্চিমবঙ্গে এমন ছয়টি কালী মন্দির রয়েছে যেগুলিকে খুবই জাগ্রত বলে মনে করেন পুণ্যার্থীরা। এমনকি তারা এই সকল মন্দিরে গিয়ে কালিয়া আরাধনা করলে মা তাদের খালি হাতে ফেরান না বলেও মনে করেন। পুণ্যার্থীদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করে থাকেন এই সকল মন্দিরের জাগ্রত মা।
১) ৫১ সতী পিঠের অন্যতম সতী পীঠ হল মুর্শিদাবাদের কীর্তিশ্বরী মন্দির। এই মন্দিরের মা খুবই জাগ্রত বলে মনে করে থাকেন পুণ্যার্থীরা। কথিত আছে, এখানে দেবীর মুকুট পড়েছিল। এই মন্দিরে কোন বিগ্রহের পূজা করা হয় না। একটি কালো পাথরকেই বিগ্রহ হিসাবে পুজো করা হয়ে থাকে।
২) বোলপুরের কঙ্কালীতলা ৫১ সতী পিঠের অন্যতম সতীপীঠ। বছরের বিভিন্ন সময়ে এখানে পুণ্যার্থীদের আগমন ঘটে। দীপান্বিতা অমাবস্যাই অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি এখানেও পুজো করা হয়ে থাকে। কথিত আছে এখানে সতীর কোমরের অংশ পড়েছিল। এখানকার কুন্ডটি খুবই পবিত্র বলে মনে করেন পুণ্যার্থীরা।
৩) ঝাড়গ্রামের চিল্কিগড়ে কনক দুর্গা মন্দির। গা ছমছমে এলাকায় অবস্থিত এই মন্দিরটিকে পুণ্যার্থীরা খুবই জাগ্রত মন্দির বলে মনে করেন। ঢুলুঙ নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দিরের আরাধ্যদেবী হলেন কনক দুর্গা। এখানে দেবীর পূজা করা হয় কালিকা পুরাণ এবং তন্ত্র মতে। দেবের মহাভোগে দেওয়া হয় হাঁসের ডিম।
৪) গড়বেতার সর্বমঙ্গলা মন্দিরকে রাজ্যের অন্যতম জাগ্রত মন্দির বলে মনে করে থাকেন পুণ্যার্থীরা। কথিত আছে, রাজা বিক্রমাদিত্য শব দেহের উপর বসে এই মন্দিরের দেবীকে তুষ্ট করেছিলেন। এছাড়াও কথিত আছে, স্বয়ং বিশ্বকর্মা এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও এক রাতে সাতটি পুকুর কাটা হয়েছিল বলে জানা যায়। এখানে দেবী সর্বমঙ্গলার অষ্টধাতুর মূর্তি রয়েছে।
৫) রাজ্যের অন্যতম তীর্থক্ষেত্র এবং জাগ্রত কালীমন্দির হিসাবে ধরা হয়ে থাকে তারাপীঠের তারা মায়ের মন্দির। এটি শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিত এবং এখানে সবচেয়ে বেশি ভক্তদের ভিড় দেখা যায় কৌশিকী অমাবস্যায়। সিদ্ধি লাভের জন্য দূরদূরান্ত থেকে সাধারণ পুণ্যার্থীদের ছুটে আসতে দেখা যায় এখানে।
৬) কলকাতার দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরকে কয়েক শতাব্দী ধরেই পুণ্যার্থীরা জাগ্রত মন্দির হিসাবে পরিগণিত করে থাকেন। এখানে মা ভবতারিণীর পুজো করা হয়ে থাকে। এখানকার যে মা ভবতারিণীর প্রতিমা রয়েছে তার রাজ্যের কেবলমাত্র তিনটি জায়গায় রয়েছে। উনবিংশ শতাব্দীর পরম যোগী শ্রীরামকৃষ্ণ দেব এই মন্দিরে দেবী কালিকাকে মাতৃ রূপে পুজো করতেন। কথিত আছে, রানী রাসমণি স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই মন্দিরের নির্মাণ করিয়েছিলেন।